অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (৩০ আগস্ট) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী গুহের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে রোববার মধ্যরাতের কিছু আগে একটি বড় ধরনের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হওয়ার পর বুদ্ধদেব গুহের মৃত্যু হয়।
গত এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গুহ। সে সময় টানা এক মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল তাকে। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ঋতু গুহ ২০১১ সালে মারা যান।
১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা বুদ্ধদেব গুহর শৈশব কেটেছে বাংলাদেশের বরিশাল ও রংপুরে। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা পরে তার নানা লেখায় এসেছে। অসাধারণ লেখনি আর নিজস্ব দৃশ্যকল্প দিয়ে সমকালীন বাংলা সাহিত্যে নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। তার লেখার একটি বড় এলাকাজুড়ে আছে অরণ, প্রকৃতি আর প্রেম।
সমকালীন বাংলা সাহিত্যে নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’-একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তার সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু কিশোর-কিশোরীর মনকে। হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা