বৈশ্বিক পরিবর্তন, জীবন যাপন পদ্ধতি, বায়োহ্যাজার্ডস ইত্যাদি নানাবিধ কারনে সারা বিশ্বে ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য মতে প্রতি বছর ৯.৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করছে।
ক্যান্সারকে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রায় ৭০ ভাগ ক্যান্সার নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সারা বিশ্বে বৎসরে প্রায় ১.১৬ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার ক্যান্সারের জন্য ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু এই সব ক্যান্সারের এক তৃতীয়াংশ প্রতিরোধযোগ্য।
উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রাথমিক পর্যয়ে রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যম ৩.৭ মিলিয়ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিভিন্ন তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ ক্যান্সার রোগীর বর্তমান আছে এবং বছরে প্রায় ২ লক্ষ নতুন ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ছে।
রবিবার (১৬ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন।
মতবিনিময় সভার উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সার্জিক্যাল ইউরোঅনকোলজিষ্ট ইনসাফ বারাকাহ কিডনী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা: এম ফখরুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধাপক ডা: মো: নওফের ইসলাম, ফাউন্ডেশন ভাইসচেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এএসকিউএম সাদেক, ফরিদা ইয়াসমিন কনা, মো: আলতাফ হোসেন সহ আরও অনেকে।
দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধাপক ডা: মো: নওফের ইসলাম জানান, সামাজিক দায় থেকে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন।
যে সকল রোগী ঢাকায় এসে টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেনা তাদেরকে আমরা নামমাত্র মূল্যে রোগী ও রোগীর সজন সহ থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকি এবং রেডিও বা ক্যামো থেরাপী দেয়ার জন্য এম্বুলেন্স এ করে আনা নেয়ার ব্যবস্থা করে থাকি।
যদি কোন রোগী উক্ত টাকাও দিতে না পারে তবে আমরা সম্পুর্ন বিনামূল্যে রোগীকে সার্ভিস দিয়ে থাকি। আমাদের এই সেবা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা তাই আপনাদের লিখনির মাধ্যমে অনেকেই জানতে পারবে এবং আমাদের সেবা নিতে পারবে।
দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ডা: এম ফখরুল ইসলাম মতবিনিময় সভায় ক্যান্সারের ঝুকিঁ প্রসঙ্গে তামাককে বেশি দায়ী করেন। কিছু ক্যান্সার বংশগতভাবে হয়। যেমন-স্তন ক্যান্সার।
আর শতকরা ৯০ ভাগ ক্যান্সারের জন্য দায়ী আমাদের দেশের পরিবেশ। পরিবেশের মধ্যে ভাগ করে বললে বলা যায় কিছু রাসায়নিক পদার্থের কথা। বিশেষ করে তামাক থেকে অর্ধেকের বেশি ক্যান্সার হয়।
সেটা ধূয়াযুক্ত বা ধূয়ামুক্ত যে ধরনের তামাকেই হোক না কেন। ফুসফুসের ক্যান্সারের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগই তামাক তথা ধূমপানের কারণে। তাই সবার আগে তামাকের ঝুকিঁটা আমাদের হ্রাস করতে হবে।
প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার চিকিৎসার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগী পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা মূলত রাজধানীকেন্দ্রীকই রয়ে গেছে। ক্যান্সার রোগীদের কাছে চিকিৎসা সুবিধা নিতে চিকিৎসা ব্যাবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা