অনলাইন ডেস্ক
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান করে ইনিংস ছেড়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশ দল অলআউট হয় ২৫১ রানে। নিয়ম মোতাবেক বাংলাদেশ ফলোঅনে পড়লেও, তা করাননি লঙ্কান অধিনায়ক। ২৪২ রানের বিশাল লিড নিয়ে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নামেন দ্বিতীয় ইনিংসে।
রোববার ম্যাচের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে ইনিংস ঘোষণার আগে শ্রীলঙ্কা করেছে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান। প্রথম ইনিংসের ২৪২ রানসহ তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৪৩৬ রানের। এ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে হবে বাংলাদেশকে। যা রীতিমতো অসাধ্যসাধনের এক মিশন। সকাল সকাল হাত খুলে মারার চেষ্টা করতে থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। অপরপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেও। অবশ্য এই সময় উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। ১১.২ ওভারে তাইজুলের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ উঠলেও সেটি হাতে জমানো যায়নি।
এক ওভার পর অবশ্য সাফল্যের মুখ দেখেন তাইজুল। মেরে খেলার চেষ্টায় সফল হতে পারেননি ম্যাথুজ। তাইজুলের বল ঠিকমতো ডিফেন্ড করতে পারেননি। ফলাফল বল ইনসাইড এজ হয়ে জমা পড়ে শর্ট লেগে থাকা বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলীর হাতে। ম্যাথুজ সকালে একটি ছয় মেরে ফিরে যান ১২ রানে।
এর পর করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা মিলেই সকালের ধাক্কা সামাল দিতে থাকেন। দুজনে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। নিয়মিত স্পিনাররা জুটি ভাঙতে না পারলেও এই জুটি ভাঙেন খণ্ডকালীন অফস্পিনার সাইফ হাসান। ৬৬ রানে করুনারত্নে শর্ট লেগে তালুবন্দি হন বদলি ফিল্ডার ইয়াসীর আলীর।
অপরপ্রান্তে থাকা ধনাঞ্জয়াও ফিরে যান তার পর পর। মেহেদী মিরাজের স্পিনে ক্যাচ উঠে বল লাগে কিপারের গায়ে। সেই বল তালুবন্দি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ধনাঞ্জয়া ফেরেন ৪১ রানে। এর পর লিড চারশো ছাড়াতে ভূমিকা রাখেন দিকবিলা ও নিসাঙ্কা মিলে। লাঞ্চের আগে অবশ্য তাইজুলের ঘূর্ণিতে উঠিয়ে মারতে গিয়ে শরিফুলের তালুবন্দি হন নিসাঙ্কা। তিনি ফেরেন ২৪ রানে।
লাঞ্চের পর পর অবশ্য কাঙ্ক্ষিতভাবে স্কোর করতে পারেনি লঙ্কানরা। নামার পরই নিরোশান দিকবিলার প্রতিরোধ ভাঙেন পেসার তাসকিন। শরীর বরাবর বাউন্স দিলে দিকবিলা পুল করেছিলেন। তাতেই তাইজুলের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন দিকবিলা (২৪)। পরের ওভারে রামেশ মেন্ডিসও ফিরে যান বড় শট খেলার লোভ সামলাতে না পেরে। তাইজুলের বলে মেন্ডিসের (৮) ক্যাচ নেন তামিম।
এর পর সুরাঙ্গা লাকমাল কিছু বাউন্ডারি মেরে তাইজুলের বলে বোল্ড হলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য তার আগের বলে ক্যাচ উঠলেও সেটি নিতে পারেননি বাংলাদেশ দলের ফিল্ডার। এই ইনিংসে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন বামহাতি স্পিনার তাইজুল। অষ্টম বারের মতো নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই ইনিংসে তিনি ৭২ রানে নিয়েছেন ৫টি। দুটি নিয়েছেন মিরাজ, একটি করে নিয়েছেন সাইফ ও তাসকিন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা