বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিদ্যালয়ের মিলন হলে সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হলো ক্যান্সার স্ক্রিনিং বিষয়ে প্রথম জাতীয় সম্মেলন। কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের উদ্যোগে ও জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনে স্তন, জরায়ুমুখ, মুখগহ্বর, প্রোস্টেট ও বৃহদন্ত্রের ক্যান্সারের প্রায় বিশটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশের বরেণ্য বিশেষজ্ঞ ও তরুন চিকিৎসকগণ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে স্ক্রিনিং অর্থাৎ লক্ষণ দেখা দেয়ার আগে ক্যান্সার নির্ণয়ের অপরিসীম গুরুত্বের কথা তুলে ধরে দেশব্যাপী স্ক্রিনিং কর্মসূচি সম্প্রসারণের আহবান জানান।
সর্বজ্যেষ্ঠ অনকোলজিস্ট অধ্যাপক এম এ হাই, বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুল্লাহ শিকদার। সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন।
সূচনা বক্তব্যে কনফারেন্সের সেক্রেটারি ও জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ মোঃ হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, বিগত বছরগুলোতে সরকারী উদ্যোগে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। তবে এই প্রোগ্রামের সম্প্রসারণ ও সম্পূর্ণ করতে মুখগহ্বরের ক্যান্সার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। হাসপাতালকেন্দ্রিক না থেকে সমাজভিত্তিক সুসংগঠিত কর্মসূচীর উপর জোর দিতে হবে।
বিকেলে ভিন্নধর্মী একটি অধিবেশনে সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়েশা খান বলেন, গ্রামে এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করে তুলতে হবে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটির একজন বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিনির্ভর স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের উপর বক্তব্য রাখেন।
প্রায় দুইশজন চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক ও ক্যান্সার সারভাইভার সম্মেলনে যোগ দেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা