শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আসন্ন ভারত সফরে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি দিবা-রাত্রিতে আয়োজনে বিসিবির কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বিসিবি তাদের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।
আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হওয়া ম্যাচটি হবে উভয় দলের জন্যই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ভারতের বিপক্ষে ফ্লাড লাইটের অধীনে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির এ ম্যাচটি খেলতে তারা দারুণ রোমাঞ্চিত।
বিসিবি কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন এখনো তারা দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেননি। এ বিষয়ে তারা খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের মতামতের জন্য অপেক্ষা করছেন।
রাসেল ডোমিঙ্গো মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে কথা বলছি। একজন কোচ, কতিপয় খেলোযাড় ও অন্য সব সিনিয়র খেলোযাড়দের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ বলে আমি মনে করছি।’
তিনি আরো বলেন,‘ ভারতও এর আগে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেনি। আমরাও খেলিনি। ইডেন গার্ডেনে এটা হতে যাচ্ছে একটা বড় উৎসব। উভয় দলের জন্যই এটা হবে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। তাই এ নিয়ে আমরা দারুণ রোমাঞ্চিত। বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটির সম্ভবত বিশ্ব সেরা দলটির বিপক্ষে ফ্লাড লাইটে খেলাটা হবে দারুণ একটা উৎসব। সত্যিই আমরা এ চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে আছি।’
মজার ব্যাপার হচ্ছে বিসিসিআই’র নবনিযুক্ত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কাছ থেকে এই প্রস্তাবটি এসেছে। ইতোমধ্যে এই গোলাপী বলের খেলার প্রতি নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সৌরভ এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলিও এর প্রতি সম্মত রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ সালে একবার দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর পর এবার নিজ থেকেই উদ্যোগ নিল ভারত। সে বছর ডিসেম্বরে এডিলেডে গোলাপী বলে টেস্টে অংশগ্রহনের সম্ভাবনাই নাকচ করে দিয়েছিল ভারত। তাদের বক্তব্য ছিল ভিন্ন কন্ডিশনের এই খেলায় অংশগ্রহনের আগে তাদেরকে দীর্ঘ সময় অনুশীলন করতে হবে।
কাকতালীয় ভাবে নিউজিল্যান্ডেও একই রকম প্রস্তাব পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে তাতে রাজি হয়নি টাইগাররা। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ ডোমিঙ্গোর মতে- পরিবর্তন একটি ভাল সুযোগ।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং দুই দলের জন্যই এটি সমান হবে। কারো প্রচুর প্রস্তুতি নেই। তবে এটি হবে রোমঞ্চকর একটি ম্যাচ। গোলাপী বলের কারণে দুই দলই সমান সুযোগ পাবে। এই সুযোগ পেয়ে আমরা দারুনভাবে রোমঞ্চিত।’
বাংলাদেশ দলের কোচ বলেন, ‘আমরা জানি ভারত খুবই ভাল একটি টেস্ট দল। জানি সম্ভবত তারাই বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল। কিন্তু গোলাপী বলের টেস্টে দুই দলের মধ্যেই রয়েছে অনিশ্চয়তা। দুই দলই জানেনা কিভাবে গোলাপী বলে খেলতে হবে।
আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বাভাবিকভাবে সবার মধ্যেই এটি নিয়ে কিছুটা উৎকন্ঠা রয়েছে। কেউ কেউ প্রস্তুতির জন্য কম সময় পাওয়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে মাত্র দুই দিনের ব্যবধান রয়েছে।
আমার খেলোয়াড়ি আমলে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে গোলাপী বলে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেটি ছিল এডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এর আগে আমরা একটি অনুশীলন ম্যাচও খেলেছি। আমরা কয়েকটি মাত্র সেশন পেয়েছিলাম। তাই এটি শুরুর জন্য সময় খুবই কম পাওয়া যায়। আশা করছি ওই ঘটনাটিকে আমি এখন কাজে লাগাতে পারব। আমি গোলাপী বল নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি সেটি আমাদের জন্য বাড়তি একটি সুযোগ হবে।’
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘সেখানে আমরা অনুশীলনের জন্য পাব দুই দিন। এই মুহূর্তে এটিই সম্বল। অনুশীলনের প্রস্তুতির সময় আমাদের জন্য গোলাপী বল থাকবে। তবে আমাদের মনোযোগ থাকবে প্রথম টেস্টের দিকে। সেটি শেষ হবার পরই কেবল আমরা গোলাপী বল নিয়ে চিন্তা করব।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা