কোম্পানীর যেখানে ৫০ টি বাস চালানাের কথা সেথানে তারা চালাচ্ছে ১০ টি বাস। যাত্রীদের গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে এবং অতিরিক্ত বাস ভাড়া বাধ্য করার জন্য কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে কম বাস চালায়। যাত্রীরা যথেষ্ঠ যানবাহন না পেয়ে চলন্ত বাসে ঝুঁকি নিয়ে উঠানামা করে এতে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়।
শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে “আদায়কৃত অতিরিক্ত ভাড়াই চাঁদার টাকার উৎস; বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ কর” দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনের বক্তারা একথা বলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পর্যাপ্ত মানসম্মত বাস না থাকায় মোটর সাইকেল, পাঠাও, উবারসহ বাড়ছে অন্যান্য পরিবহন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও পরিবহন ব্যয় বাড়ছে, বাড়ছে যানজট ও নৈরাজ্য। বিভিন্ন রুটে যে পরিমাণ বাস চালানোর কথা তা চালানো হচ্ছেনা। একটি সিন্ডিকেট পুরো পরিবহন সেক্টরকে দখল করে নিয়েছে। এই পরিবহন সিন্ডিকেট হাইকোর্টের রুলকেও পরোয়া করেনা। তাদের জিম্মায় চলে যাচ্ছে কোম্পানীগুলোর বাস।
বক্তবারা বলেন, যে কারণে যাত্রীদের সঠিক সেবা তারা প্রদান করতে পারছে না। বিভিন্ন কোম্পানি যে পরিমাণ ও যে মানের বাস চালানোর শর্তে রুট পারমিট পায় তারা তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণ এবং নিম্নমানের বাস চালায়। অন্যদিকে চাহিদা থাকায় গেট লক না দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে বাস কোম্পানিগুলো। এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করে বাস মালিকরা বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদা দিচ্ছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবাসহ সুবন্ধন সামাজিক কল্যাণ সংগঠন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, গ্রীণ ফোর্স, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, বিসিএইচআরডি উক্ত মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলীর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান, সদস্য জি এম রুস্তম খান, সুবন্ধন সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. ফারুক হুসাইন, খেলা ঘরের সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী, নাসফের সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, সমাজ সেবক মো. সেলিম, বিসিএইচআরডি’র সভাপতি মাহাবুব হক, গ্রীণ ফোর্সের সদস্য দ্যুলোক নাঈম, নাহিদ রায়হান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সড়ক পরিবহন ২০১৮ আইন বাস্তবায়ন করার জন্য পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা)’র পক্ষ থেকে অভিনন্দন। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কিছু কিছু প্রস্তুতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। যেমন সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের লক্ষ্যে জনগনের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিধান করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে আইন অমান্য করা হলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু ঢাকা শহরে কোথাও সয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগনাল নাই। যদিও প্রায় একশো কোটি টাকা ব্যয়ে ঈঅঝঊ প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু এর বাস্তব প্রতিফলন নাই। অবৈধ পাকিংয়ের জন্য ৫০০০ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নগরীর বাণিজ্যিক ভবনের পার্কিংয়ের জায়গাগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে জেব্রা ক্রসিং, পদচারী-সেতু, পাতালপথসহ অন্যান্য নির্ধারিত স্থান ব্যাতিত যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য পথচারীকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা ব্যবস্থা ধরা হয়েছে কিন্তু পারাপারের জন্য যথেষ্ট জেব্রা ক্রসিং-এর সুবিধা নাই। এছাড়া অবকাঠামো বাস্তবায়নের জন্য আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। এলক্ষ্যে বিআরটিএ, ডিএমপি, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে আইনগুলো সম্পর্কে জনগণ, চালক, মালিকসহ সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে মিডিয়াসহ বিভিন্নভাবে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা