মো: আফতাবুর রহমান
বাংলা একাডেমির বইমেলা চত্বরে কোন কোন স্টলে আল্লাহ, রসূল (সা.), ইসলামী সংস্কৃতি, মুসলমান এবং আলেম ওলামাদের সম্পর্কে জঘন্য-অশ্রাব্য ভাষায় লিখা বই বিক্রি হয়েছে। লিটলম্যগ চত্বরের নামসর্বস্ব কালাঞ্জলী ষ্টল থেকে “নানীর বাণী” নামের যে বই টি বিক্রী হচ্ছিল তাতে আল্লাহ, রসূল ও ইসলামী সংস্কৃতি ও আলেম ওলামা সম্পর্কে যেসব অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা স্মরণ কালের ইসলাম বিরোধী কোন বইয়েই এমন ভাষা ব্যবহার করা হয় নি। ইসকনের ষ্টল থেকে” যেমন কর্ম তেমন ফল” নামের যে বইটি বিক্রী হচ্ছে তার ভেতরে গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে উস্কানী দেওয়া হয়েছে।
অসাম্প্রদায়িকের ধোয়া তুলে বাংলা একাডেমি ইসলামী বই এর কোন স্টল বরাদ্দ দেয় নি। যদিও বই বিক্রেতা ওয়েবসাইট ‘রকমারি.কম’ এর বেস্টসেলারের তালিকার উপরের দিকে সব প্রকাশনা সংস্থাই ইসলামী বইয়ের। অথচ ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন প্রকাশনী সহ ইসকনকে বই এর স্টল করতে দেওয়া হয়েছে। কালাঞ্জলী ষ্টলের দিয়ার্ষী আরাগ ওরফে কুমার দিপুর লিখা নানীর বাণী বই এর ১৫ এবং ১৯ পৃষ্ঠায়, ““বেহেস্তে বেশ্যা আনলিমিটেড, কাস্টমার লিমিটেড। বেশ্যার পারিশ্রামিক আর ইসলামী দেনমোহর একই বস্তু। একজন বেশ্যার খোঁজে যেতে হয় বেশ্যালয়ে বাহাত্তর বেশ্যার খোঁজে যেতে হয় মসজিদে। মোল্লারা পাবলিক বেশ্যালয়ের বিরোধিতা করে ভিন্ন কারণে, ওখানে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তাদের নেই। কারণ সব মোল্লাদের পরিবারই এক একটা মিনি প্রাইভেট বেশ্যালয়।” নাউযুবিল্লাহ!!!! বই এর ১৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “ইসলামের দেনমোহর এবং বেশ্যার পারিশ্রমিক একই বিষয়।” আরো বলা হয়েছে, “প্রাইভেট বেশ্যা ক্রয়ের ইসলামী চুক্তিকে মুমিন-মুসলমানরা বিবাহ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বাসীদের কাছে টিকটিকিও ওহী নাযিল করে।” নাউযুবিল্লাহ। বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,“বোরখা পরিহিতা নারীরা বেশ্যা।” ৩৯ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “ইসলাম শান্তির ধর্ম-একথা পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম কৌতুক।” নাউযুবিল্লাহ!!!! বইয়ের ৫৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, ”ইন্ডিয়া মুসলমানদের প্রথম বেহেস্ত, কারণ এখানে অসংখ্য হুর, শারাবান তহুরা এবং সস্তায় লাল মাংস আছে।”
বইতে আরো বলা হয়েছে, ““আল্লাহ এবং মুহাম্মদ এখন তরুণী বুকের যমজ পায়রার চেয়েও বেশি স্পর্শকাতর। আসল মানুষটার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার ফেসবুকের আইডিটারও মৃত্যু ঘটে। যেমন নবি মুহাম্মদের মৃত্যুর পর পরই মৃত্যু ঘটেছে আল্লাহর।”“বিশুদ্ধ ইসলাম হচ্ছে আয়েশার ঝর্ণায় গোছল করে উম্মেহানির উপত্যকায় আল্লাহর আরশ আবিষ্কার করা।” নাউযুবিল্লাহ!
ইসলামপ্রীতি অনেকটা লোক দেখানো তা না হলে আইনমন্ত্রী কিভাবে বললেন, নামায পড়তে কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিছুদিন আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে গরুর গোশতের তেহারী বা বিরানী বিক্রি করায় ভাটারা থানার পুলিশ রেস্টুরেনে্টর মালিককে এক হিন্দুর পা ধরিয়ে মাফ চাইতে বাধ্য করেছে। অথচ রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড হচ্ছে আল্লাহর দান বিরাণী হাউজ। এই জঘন্য ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশের কোন বিচার হয় নি। মুসলমানদের স্বার্থের ক্ষেত্রে সরকারী গোায়েন্দারা মনে হয়। দেখেও না দেখার ভান করে। আর এসবই হচ্ছে সরকারের ইসলাম প্রীতির নমুনা। এথেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত ইসলাম দরদী না হলে সরকারের উপর আল্লাহর গযব নেমে আসা বিচিত্র কিছু নয়। যেমনই পানি খেয়ে ফেলার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ার সরকার পাচ হাজার উটকে গুলি করে মেরে ফেলায় আল্লাহ দাবানল ও বণ্যার গযব দিয়েছেন। চীন সরকার নতুন কোরআন শরীফ তৈরীর ঘোষণা দেওয়ায় এবং উইগর মুসলিম নারী পুরুষদের উপর সর্বকালের ভয়াবহ নির্যাতন এর কারণে চীনবাসির উপর আল্লাহ তায়ালা করোনা ভাইরাসের গযব নাযিল করেছেন। রাষ্ট্রধর্মের দেশ বাংলাদেশে মুসলিম সরকার হওয়া স্বত্ত্বেও আল্লাহ, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলামী সংস্কৃতি, মুসলমান এবং আলেম ওলামাদের নিয়ে জঘন্য-অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি কর্মকর্তাদের ইসলাম বিরোধী বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এর পরিণতি চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার মতো ভয়াবহ হতে পারে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা