বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীকে সরানোর দাবি উঠলেও কোচ হিসেবে শাস্ত্রীকেই চাইছেন অধিনায়কে বিরাট কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে দলের কোচ হিসেবে কাকে চান-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
বিরাট বলেন,’রবি ভাইয়ের সঙ্গে দারুণ কাজ করেছি। দল হিসেবে দারুণ খেলেছি। উনিই কোচ থাকলে খুশি হব। কিন্তু যেমনটা শুরুতেই বললাম কোচ বাছার কাজ করছে কমিটি। আমার মতামত দরকার কি না, সেটা ওদের উপরে নির্ভর করছে। এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আগামীতে কী হবে বলতে পারছি না’।
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হারের পরই রবি শাস্ত্রীর রণকৌশল নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। চার নম্বরে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান ছাড়াই বিশ্বকাপে গিয়েছিল ভারত। অম্বাতি রায়াডুকে চার বছর খেলিয়েও নেওয়া হয়নি দলে। সুযোগ পেয়ে যান অলরাউন্ডার বিজয়শঙ্কর। শিখর ধবন চোট পেয়ে বাইরে চলে যাওয়ায় চার নম্বর ব্যাটসম্যানের অভাব আরও প্রকট হয়ে পড়ে। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থকে খেলিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চার নম্বরে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের অভাব পূরণ করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। প্রশ্ন উঠেছে, সেমিফাইনালে ধোনিকে পরে নামানো নিয়েও। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধোনিকে কেন আগে নামানো হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পরও কেন কোচ থেকে যাবেন শাস্ত্রী? তাহলে কি পারফরম্যান্স নয়, শুধুই অধিনায়কের পছন্দের পাত্র হলেই টিকে থাকা যাবে দলে? তাঁকে কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলিই।
এর আগেও অধিনায়কের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শাস্ত্রীর পূর্বসূরী অনিল কুম্বলে। শোনা গিয়েছিল, অনিল কুম্বলে কড়া হেডস্যর। বিরাটসহ ক্রিকেটাররা তাঁর কড়া নিয়ম মানতে পারছিলেন না। সেক্ষেত্রে রবি শাস্ত্রীর ক্রিকেটারদের কাছে একেবারে বন্ধুর মতো। সে কারণেই হয়তো শাস্ত্রীকেই পছন্দ বিরাটদের। সূত্র : জি নিউজ
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা