অনলাইন ডেস্ক
দুদক আইন অনুযায়ী তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুদক গঠিত হয়। কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর। তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনার নিয়োগ দিতে সরকার ২৮ জানুয়ারি বাছাই কমিটি গঠন করে। আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন এবং অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে চেয়ারম্যান হিসাবে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন : সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সাবেক আইনসচিব হাবিবুল আউয়াল, দুদকের বর্তমান কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান।
এদিকে কমিশনার পদেও বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন : সাবেক সচিব ও সাবেক দুদকসচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, সদ্য অবসরে যাওয়া আইনসচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারি, দুজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ ও সাবেক একজন আইজিপি। জানা গেছে, দুদক চেয়ারম্যান পদে তিনজন থেকে একজনকে এবং কমিশনার পদে তিনজন থেকে একজনকে নিয়োগের প্রস্তাব শিগগির করবে বাছাই কমিটি। দুদক আইনের ধারা ৬-এর অধীন নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে কমিটি সুপারিশ পাঠাবে।
২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি সরকার বিদেশি দাতা সংস্থার চাপে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করে। বিচারপতি সুলতান হোসেন খানকে দুদকের প্রথম চেয়ারম্যান করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা ও আর্থিক ডিভিশনের মনিরউদ্দিন আহমেদকে কমিশনার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুদককে তারা কার্যকর করতে পারেননি। নিজেদের মধ্যে দূরত্বের কারণে দুদকের বিধিমালাও তারা করতে পারেননি। ফলে বিতর্কিত দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত করা হলেও তিনজনের অনৈক্যে দুদক তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পটপরিবর্তনের পর সেনাশাসিত সরকার দুদককে সক্রিয় করে। সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ উদ্দিন চৌধুরীকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এনবিআরের কমিশনার মনজুর মান্নান ও সাবেক জেলা জজ হাবিবুর রহমানকে কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ২০১০ সালের এপ্রিলে দুদক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এরপর সাবেক সচিব গোলাম রহমানকে দুদকের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। তার মেয়াদ শেষে দুদকের কমিশনার এম বদিউজ্জামানকে কিছুদিনের জন্য দুদকের চেয়ারম্যান করা হয়। তার মেয়াদ শেষ হলে সাবেক সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদকে ২০১৬ সালের মার্চে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদক আইন অনুযায়ী তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুদক গঠিত হয়। কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর। তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনার নিয়োগ দিতে সরকার ২৮ জানুয়ারি বাছাই কমিটি গঠন করে। আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন এবং অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারমান কে হচ্ছেন, তা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের মেয়াদ ১৩ মার্চ শেষ হচ্ছে। দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলামের মেয়াদও প্রায় একই সময় শেষ হচ্ছে। এ কারণে সরকারকে এখন দুদকের চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনার নিয়োগ দিতে হচ্ছে। এ ধরনের নিয়োগ উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয়।fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা