সিনিয়র প্রতিবেদক অত্যন্ত দুঃখে, ক্ষোভে বাধ্য হয়ে আমরা আজ আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। কোনো বিবেকবান মানুষ এই হত্যা মেনে নিতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী তরুণরা পড়তে আসে। সেখান একজন মেধাবী ছাত্র কেন অরেকজন মেধাবী ছাত্রকে খুন করবে। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজিত মানববন্ধনে একথা বলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়শা খানম প্রশ্ন রাখেন, এই মেধাবীদের হাতে কেন হাতকড়া পড়বে? তিনি এর জন্য রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণকে দায়ি করেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়সহ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি প্রকৃত অর্থেই স্বায়ত্বশাসিত হতো তা হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। বুয়েটের ভিসির ঘটনাস্থলে আসতে ৩৫ ঘন্টা লাগতো না। তিনি এর জন্য কোনো দল নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দায়ি করেন। তিনি ফাহাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবী করেন। সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, আবরার হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের সমস্ত বাংলাদেশের নারী সমাজ ব্যথিত। তিনি এই ঘটনার নিন্দা জানান এবং দেশে নির্ভয়ে কথা বলার, প্রতিবাদ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ বলেন, আবরার হত্যার প্রতিবাদে বুয়েটের আন্দোলনরত ছাত্ররা যে নয় দফা দাবি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নারীনেত্রী আয়শা খানমের নেতৃত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস, ঢাকা মহানগর কমিটির আন্দোলন সম্পাদক জুয়েলা জেবুন নেছা প্রমুখ। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্দোলন সম্পাদক রেখা চোধুরী।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা