কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসাধীন সকল রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ভার সরকারিভাবে বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীন সকল রোগীর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। চিকিৎসাধীন মোট ৩২ জন অগ্নিদগ্ধ মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ২২ জনের মধ্যে ১০ জনের প্রায় শতভাগ ক্ষতি হয়েছে। বাকীদের অবস্থাও আশংকাজনক মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেঁচে থাকা আহত ও অগ্নিদগ্ধ সকল রোগীর চিকিৎসা ব্যয় সরকারিভাবেই বহন করা হবে।
বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেরাণীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অগ্নিকান্ডে ভবন মালিকদের আইনের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ ভবন মালিক সরকারি নির্দেশনা মেনে মিল কল-কারখানা নির্মাণ করেনি। এ বিষয়টি আর মেনে নেয়া হবে না। এই অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে ভবন মালিককে সরকারিভাবে চাপ প্রয়োগ করা হবে।
ব্রিফিং-এ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে এসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট-এর প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা