অনলাইন ডেস্ক
ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর উত্তরপাড়ের একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর বুধবার সকাল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুল সংখ্যক সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১০০ রাউন্ড রাবার বুলেট, গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। জনতার হামলায় ইট, পাথর ও পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে অন্তত ৫০ ব্যক্তি আহত হয়।
তবে পূজা মণ্ডপের পূজার আয়োজকেরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। বুধবার সকালে বিষয়টি পূজারিদের নজরে আসে। এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত পূজা উদযাপন শেষে মণ্ডপটি জনশূন্য ছিল।
পূজার আয়োজক দর্পনসংঘের সভাপতি সুবোধ রায় জানান, কম বাজেটের মণ্ডপ বলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটি বের করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ও মুনসেফবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সব মুসলিম ভাইকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছি, এ বিষয় নিয়ে আর কোন উশৃংখল ঘটনা তৈরি না হয়। প্রশাসন আমাদের সাথে বসেছেন বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য।’
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ বলেন, কোনো হিন্দু বা মুসলমান নয় মণ্ডপে ধর্মগ্রন্থ রাখার বিষয়ে যেই জড়িত তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। এখন সেটার জন্য যা যা প্রয়োজন তা-ই করা হচ্ছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর তদন্ত শুরু হবে। তদন্তের জন্য আমরা তিন সদস্যের কমিটি করেছি।’
পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বি জানান, কুমিল্লায় যাতে কোনো ধরনের ‘আনরেস্ট’ পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য দুপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
কী হয়েছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা কী হয়েছে, তা আমি জানি না। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন কথা শুনেছি এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে না ঘটতে পারে, সেজন্য বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা