মোঃ মানোয়ার হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগে তার কাকা (চাচাতো) মোঃ শামসুল হক (৩৫) কে গ্রেফতার করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ধর্ষক মোঃ শামসুল হক উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের আকামত আলী মাষ্টারের বাড়ির মৃত: ছোবহান মিয়ার পুত্র।
ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) নাজমুল হাসান একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে শামসুল হককে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় একই বাড়ির আব্দু মিয়ার গোসল খানায় তাকে ফুসলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত দু’দিন ধরে তার পেট ব্যাথা এবং বমি করার কারণে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তার চাচা মোঃ শামসুল হককে দেখিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় সামাজিক সালিসের চেষ্টা করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে ভিক্টিমের মা দেবীদ্বার থানায় এসে মোঃ শামসুল হককে একমাত্র আসামি করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী আইনের ২০০৩’র ৯(১) ধারায় দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১, তারিখ-০৩,০৩,২০২০ইং।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোঃ শামসুল হক(৩৫) পেশায় একজন রাজমিন্ত্রী। রাজমিস্ত্রী হওয়ার সুবাদে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। বরিশাল, ফরিদপুর, রংপুরসহ যেখনে যেতেন সেখানেই তিনি বিয়ে করতেন। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর অন্যত্র চলে যেত। এ পর্যন্ত বিয়ে করেছেন ৮টি। বর্তমানে ২স্ত্রী আছেন এবং তাদের গর্ভে ৫ সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শামসুল হক জুয়া, মদ-গাজা, নারীর প্রতি আসক্ত ছিল। এলাকায়ও নারী কেলেঙ্কারীর অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে রাতের বেলায় বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি যেয়ে মেয়েদের খোঁজে উকি ঝুকি মারত। এ নিয়ে বহুবার তাকে আটক করে মারধর ও সালিস করতে হয়েছে। প্রতিবেশী এক কিশোরী সম্পর্কে তার ভাইস্তির সাথে দৈহিক মিলনের পর গর্ভবতী হয়ে গেলে গ্রামবাসীরা ওই কিশোরীকে তার সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। ওই স্ত্রীর গর্ভে ১ ছেলে ও ১ কন্যা রয়েছে। অপর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চলনা গ্রামের স্ত্রীর গর্ভে ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানসহ ৫ সন্তানের জনক তিনি।
রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষক একজন বখাটে, জুয়ারী এবং নারীলোভী। এখন তার বিষয়ে কেউ সালিস দরবারে আসেন না। প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় তার অভিভাবকরা আমার কাছে বিচারের জন্য এসেছিল আমি থানা পুলিশের সহযোগীতা নেয়ার কথা বলি।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আনোয়ার জানান, ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর আসামীকে গ্রেফতার করে আনি। আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে, আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা