অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (১৩ মে) সকাল থেকে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে রাস্তার তৈরির কাজে নামেন ৬০ জন মানুষ। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করবেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর এবং আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষকে বরুড়া পৌর সদরে যেতে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। অথচ দেড় কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে দিলেই ভোগান্তি কমে মানুষদের। এছাড়াও বিশাল ওই ফসলের মাঠে জমিতে চাষের জন্য ট্রাক্টর যেতে পারে না। ফসল তুলে বাড়িতে নেওয়ার জন্য কোনো গাড়িও নয়। এই মাঠের জমিগুলোতে পানির সেচ নিয়েও কৃষকদের ভোগান্তি বেশ। গ্রামের মানুষেরা বেশ কয়েকবার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে এবং পৌরসভার মেয়রের কাছে গিয়েও কোনো সুফল পাননি। ফলে নিজেরাই সে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেন তারা। তাদের সাথে একাত্মতা করে অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে ৬০ জন মানুষ সোমবার সকালে মাটি কেটে রাস্তা তৈরিতে নেমে পড়েন।
মোশাররফ হোসেন নামের এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা এলাকার মানুষ বারবার মেম্বার চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়র কাউন্সিলরদের কাছে গিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। জনপ্রতিনিধিরা শুধু নামের জনপ্রতিনিধি।’
‘তাই আশপাশের গ্রামের মানুষদের নিয়ে বৈঠক করে নিজেরাই রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। আজকে সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তিন থেকে চারদিন সময় লাগতে পারে। আজকে ৬০ জন মানুষ আছেন৷ আগামীকাল আরও বাড়তে পারে।’
আব্দুর রহমান নামের আর এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সরকারি লোকদের পিছে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত আমরা। অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষের দুর্দশা লাঘবে আমরা নিজেরাই রাস্তা তৈরির কাজ করছি। রাস্তাটি তৈরি হলে জমিতে ফসল উৎপাদন সহজ হওয়ার পাশাপাশি যাতায়াতের সুবিধাও পাবে অন্তত ৫ হাজার মানুষ।’
খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রব ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গ্রামবাসীর রাস্তা তৈরির বিষয়টি আমার জানা নেই। আগে কেউ আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো আবেদন করেনি। এখনই বিষয়টি শুনলাম আপনার (প্রতিবেদকের) মাধ্যমে।’
বরুড়া পৌরসভার মেয়র বকতার হোসেনকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নু এমং মারমা মং ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে যাব, পরে বিস্তারিত জানাব।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা