অনলাইন ডেস্ক
গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলার পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয়। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে পড়লে তারা নিহত হন।
বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ি, দোকানপাটের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধার এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছচাপা পড়ে ও অটোরিকশা উল্টে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। তাদের গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সড়কের গাছের ডালপালা অপসারণের কাজ করছেন।
গাছচাপা পড়ে ও গাছের ডাল ভেঙে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে গফফার মিয়া (৪২) ও মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম(৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দোয়ারা গ্রামে মৃত সোলেমান মিয়ার স্ত্রী ময়না বেগম (৬০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের পিটুল মিয়ার স্ত্রী শিশুলী বেগম (২৫) মারা গেছেন।
এছাড়া ঝড়ের সময় ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটো উল্টে ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের চালক হাফেজ উদ্দিন (৪৪), সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর শেফালী বেগম (৬৫) ও মালিবাড়ী ইউনিয়নে অপর একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তার নাম জানা যায়নি।
ঝড়ে বিভিন্ন সড়কে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবী নেওয়াজ জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবন উড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, হঠাৎ বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাতাসে গাছ ভেঙে পড়ায় সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় দুই নারী ও দুই পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
আরোও পড়তে পারেন : পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে ৯ জন নিহত