অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, গত ৩০ আগস্ট সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। এখন লাইটিংয়ের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তারিখ ঘোষণা হলেই চূড়ান্ত হবে উদ্বোধনের দিনক্ষণ।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এ সেতুর টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। টোলের ক্ষেত্রে বড় ট্রেইলার ৫৬৫, তিন বা ততোধিক অ্যাক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০, দুই অ্যাক্সেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, মিনি বা ছোট ট্রাক ১৭০, কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫, বড় বাসের ২০৫, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫, মাইক্রোবাস, পিকআপ, কনভারশন জিপ ও রেন্ট এ-কার ৯০, প্রাইভেটকার ৫৫, টেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫, মোটরসাইকেল ১০ এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর প্রথমে ম্যানুয়াল (হাতে) পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। পরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে একমাস সময় লাগবে। অপারেটরের মাধ্যমে টোল আদায় হবে।
এ সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সেতুটির টোলের হার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি আমরা এটি হাতে পেয়েছি। সেতুতে গাড়ি চলাচলের উপযোগী হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজও শেষ।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কালনা সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কালনাঘাট থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশপাশের সড়ক যোগাযোগে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হলেও ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত এই ধরনের সড়ক নির্মিত হয়নি। ফলে এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পাচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বড় একটি অংশ। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর-বেনাপোল পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি প্রকল্পাধীন বলে জানিয়েছেন কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা