অনলাইন ডেস্ক
জানা গেছে, কারাগারে যাওয়ার পর একটি ওয়ার্ডের আইসোলেশন সেন্টারে রয়েছেন মামুনুল হক। সেখানে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। সকালে তাকেও মুড়ি আর পায়েস দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্যদের মতো তিনি জুমার নামাজের পর দুপুরের খাবার হিসেবে সাদা ভাতের সাথে ডাল, রুই মাছ আর আলুর দম পেয়েছেন। আর রাতের বিশেষ আয়োজনে পোলাও, গরুর মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি পাওয়ার কথা রয়েছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে মুক্তির প্রার্থনায় সারাদেশে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সাধারণ মানুষের মতো সীমিত পরিসরেই ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছেন কারাবন্দিরাও।
জানা গেছে, সকাল ৭টায় মুড়ি আর পায়েস দিয়ে ঈদ উদযাপন শুরু করেন ঢাকাসহ দেশের ৬৮টি কারাগারের বন্দিরা। প্রতিবার কারাগারের ভেতরের মসজিদে নামাজ আদায়ের পর একসঙ্গে সকালের খাবার খেলেও, এবার নিজ নিজ সেলে নামাজ আদায় করেন তারা, সেখানেই পৌঁছে দেয়া হয় খাবার। কারাবন্দিরা নিজ নিজ সেলের অন্যান্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১৪ হেফাজত ইসলামের নেতা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় সারাদেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা মনে করছে পুলিশ।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় ৫ এপ্রিল মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় দুই হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা