স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশদ ও বিভিন্ন ধরনের বছরব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে প্রাদুর্ভাবের কারনে বিশদ ও বিভিন্ন ধরনের বছরব্যাপী কর্মসূচি বাতিল পূর্বক সীমিত আকারে হাইকমিশন প্রাঙ্গনে ১৭ মার্চ দিনটি উদযাপন করা হয়।
সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূত্রপাত হয়। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালক হিসাবে অত্র মিশনের প্রথম সচিব অর্পনা রানী পাল পরিচালনা করেন। হাইকমিশনার, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীগন এ উৎসবে যোগ দেন। এ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে চিরঞ্চীব সরকার, উপ-হাইকমিশনার,মিয়া মোঃ মাইনুল কবীর, মিনিস্টার, মোঃ সাখা্ওয়াৎ হোসেন, কাউন্সেলর এবং দেওয়ান হোসনে আইয়ুব, কাউন্সেলর। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উক্ত প্রামাণ্যচিত্রের পর একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ, তাঁর বর্ণিল রাজনৈতিক জীবন এবং নজিরবিহীন দেশপ্রেমের উপর বক্তারা মতামত ব্যক্ত করেন। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ যেমন কবির চৌধুরী, শরীফ ইকবাল চৌধুরী ও শাহ বাহ উদ্দিন শিশির, প্রেসিডেন্ট, BACOV সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি হাইকমিশনার বলেন যে, জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন আমাদের সকলের জন্য আনন্দের একটি মুহূর্ত। আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবন, দেশের প্রতি তার ভালবাসা, ত্যাগ ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন মানে বাংলাদেশের ইতিহাস। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে সর্বাগ্রে তার ঘটনাবহুল আদর্শময় জীবন সম্পর্কে জানতে হবে। ‘সোনার বাংলার’ – স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অব্যাবহিত পরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত দেশে তথা ‘সোনার বাংলায়’ – পরিণত করতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তার সাড়ে চার বছর শাসন কালে বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলায়’-এ পরিণত করতে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী আজ দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন।
এ পর্যায়ে হাইকমিশনার সকলকে অবহিত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেটের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিশেষ উদ্যোগে কানাডা সরকার তথা কানাডা ডাকবিভাগ এ স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেন। হাইকমিশনার কানাডার সরকার তথা কানাডার ডাকবিভাগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন অতি সম্প্রতি অটোয়ার মেয়র Mr. Jim Watson ১৭ মার্চ কে শেখ মুজিবুর রহমান দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য যে, ১৭ মার্চকে মেয়র Mr. Jim Watson মুজিব দিবস ঘোষনার প্রেক্ষিতে অটোয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশের সংগঠন BACOV এর সম্পৃক্ততার বিষয়টি হাইকমিশনারপ্রশংসা করেন। আরো উল্লেখ্য যে, এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিশেষ বানী প্রেরণ করেন। হাইকমিশনার আরো আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অটোয়ার মেয়রের ১৭ মার্চকে মুজিব দিবস ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ়, গভীর এবং নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা