অনলাইন ডেস্ক
ম্যাচের একাদশ মিনিটেই ভালো সুযোগ পায় ফ্রান্স। দেম্বেলে থেকে পাওয়া বল বক্সে ক্রস দেন গ্রিজমান। সেখানে থেকে হেডও নেন জিরুদ। তবে ইংলিশ গোলরক্ষকের কারণ সেটি ঠেকিয়ে দেন। সপ্তদশ মিনিটে ঠিকই এগিয়ে যায় ফরাসিরা। ডান দিক থেকে গ্রিজমানকে খুঁজে নেন এমবাপ্পে। আতলেটিকোর এই ফরোয়ার্ড বল বাড়ান চুয়ামেনির উদ্দেশ্যে। বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন রিয়ালের এই মিডফিল্ডার।
সমতায় ফিরতে মরিয়া ইংল্যান্ড সুযোগ পায় ২২তম মিনিটে। সাকার বাড়ানো পাস থেকে বল টেনে নিতে ব্যর্থ হন হ্যারি কেইন। তবে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার থেকে সেটি ঠিকই সংগ্রহ করে নেন হেন্ডারসন। যদিও তার দেওয়া পাস বেলিংহাম ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি। ২৯তম মিনিটে কেইনের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লরিস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। সেটা নিতে এগিয়ে যান হ্যারি কেইন। মোজা টেনে, জার্সি ঠিক করে পেনাল্টি নেওয়ার আগের যত রেওয়াজ পালন করেন, তা করলেন; এরপর পেনাল্টি নিতে গিয়েও নিলেন না। একটু অপেক্ষা করে ফিরলেন আবার রান আপের জায়গায়। সেখান থেকে সব রেওয়াজ আবারও পালন করলেন। পেনাল্টি টেকারের মনোযোগ নড়াতে গোলরক্ষক যা করেন, তারই যেন উল্টোটা করলেন কেইন। তাতেই যেন ফরাসি গোলরক্ষক লরিস একটু মনোযোগ হারালেন, ঝাঁপালেন শটের বিপরীত দিকে। বল গিয়ে আছড়ে পড়ল ফ্রান্সের জালে। ১-১ সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
এরপর একগাদা আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের পর ফরাসিদের দ্বিতীয় গোলের দেখা পাইয়ে দেন অলিভিয়ের জিরু। অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানের এক কর্নার ইংলিশরা বিপদমুক্ত করে, তবে সেই বল আবারও দখলে নিয়ে বাম পাশ দিয়ে আবারও আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স, বক্সে আসা ক্রসটা দারুণভাবে জালে জড়ান জিরু।
তিন মিনিট পরই পেনাল্টি পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। শুরুতে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত না দিলেও রেফারি ভিএআর দেখে এসে পেনাল্টি দেন ইংলিশদের। তবে আগের বারের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক কেইন। আগের বার যেমন মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিয়েছিলেন পেনাল্টিটা, তার উল্টোটাই যেন হলো এবার। কেইন শটটা নিলেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে। যার ফলে ইংল্যান্ডও আবার সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা