অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই হ্যাটট্রিক করেন রামোস। ৬-১ গোলে ম্যাচ জিতে পর্তুগাল জায়গা করে নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রামোস। তবে শেষ ষোলোর ম্যাচে রোনালদোর বদলে শুরু থেকেই রামোসকে মাঠে নামান কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামার উপলক্ষ রঙিন করলেন পেশাদার ফুটবলে বেনফিকার হয়ে খেলা এই ফরোয়ার্ড। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
বিশ্বকাপে পর্তুগিজদের পক্ষে হ্যাটট্রিক করা ফুটবলার চারজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৯৬৬ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ৪ গোল করা ইউসেবিও, ২০০২ আসরে গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পাওলেতা ও ২০১৮ আসরে গ্রুপ পর্বে স্পেনের বিপক্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
কেবল দেশীয় রেকর্ডই নয়, এই হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে আরও কিছু অর্জন যোগ হয়েছে রামোসের নামে। ২০০২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথমবার শুরুর একাদশে নেমেই হ্যাটট্রিক করলেন এই পর্তুগিজ।
এছাড়া বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবশেষ হ্যাটট্রিক হয়েছে ১৯৯০ সালে। সেবার শেষ ষোলোয় কোস্টারিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার স্কুরাভি।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রামোসের প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ১৭তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে জোয়াও ফেলিক্সের বাড়ানো বল ধরে দুরূহ কোণ থেকে দুরন্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন রামোস। ৫১তম মিনিটে ডান দিক থেকে দিয়োগো দালোতের পাস গোলমুখে পেয়ে টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রামোস। ৬৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষক সমারের ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে গত ১৭ নভেম্বর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে অভিষেক হয় রামোসের।
এরআগে পর্তুগাল অনুর্ধ্ব-১৯ ও অনুর্ধ্ব-২১ দলের হয়েও হ্যাটট্রিক করেছিলেন গনসালো রামোস।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা