যতদিন বাংলাদেশ থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামও ততদিন চির ভাস্বর হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ অচিন্ত্যনীয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালবাসা এবং কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা ও একাগ্রতার কারণেই টুঙ্গিপাড়ার এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়েও শেখ মুজিব নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট ভূমি ও মানবাধিকারকর্মী এবং এএলআরডি-র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা এ কথা বলেন। রাজধানীর লালমাটিয়াস্থ সংস্থার নিজস্ব প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে এএলআরডি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন্মশতবর্ষ পালনের পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে শামসুল হুদা আরো বলেন, প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাবিদ আবুল হাশিম অবিভক্ত বাংলার মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে কোলকাতায় তার দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষণ পরবর্তী সময়ে তিনি কর্মীদের বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করতেন। তিনি তার লেখা ইন রেস্ট্রোস্পেকশন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, প্রতিদিন সকালে সবার আগে দায়িত্ব বুঝে নেয়া এবং বিকেলে সর্বাগ্রে কাজের রিপোর্ট যে কর্মীটি করতেন তিনি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কর্তব্যনিষ্ঠার এই উদাহরণই বলে দেয় যে তিনি তার রাজনৈতিক দায়িত্ব সম্পর্কে কতখানি একাগ্র ছিলেন। সকাল বেলার সূর্য যেমন বলে দেয় দিনটা কেমন যাবে, তেমনি এ রকম বেশ কিছু উদাহরণ বলে দেয় যে মহান নেতা হওয়ার সোপানগুলো বঙ্গবন্ধু একেবারে ছোটবেলা থেকেই তৈরি করেছিলেন।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে যারা অংশ নেন এএলআরডি-র সহকারী কর্মসূচি সমন্বয়কারী (প্রশিক্ষণ) অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজী, সহকারী কর্মসূচি সমন্বয়কারী (পানি অধিকার) সানজিদা খান রিপা, গবেষণা কর্মকর্তা ইলিরা দেওয়ান, প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট মাসুদ হোসেন খান, কর্মসূচি কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ) আজিম হায়দার, , শেখ আবু মোহাম্মদ ইউসুফ, মতিউর রহমান, শেখ আবু মোহাম্মদ ফয়সাল প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনীতি, মানবিক গুণাবলী, ধর্ম-নিরপেক্ষতা, বিরোধীদের প্রতি সহনশীলতা ও মানবিক আচরণ এবং রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তারা বলেন, নেতৃত্ব ও দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মীর প্রয়োজনকে তিনি সকল সময়ে স্বীকৃতি এবং মর্যাদা দিতেন। একজন মহান নেতা হিসেবে নিঃসন্দেহে তিনি আমাদের সকল সময়ের আদর্শ। তাঁর নিজের লেখা বই এবং তাঁর উপরে লেখা বই, শিশুদের নিয়ে তাঁর ভাবনা, সুন্দরবন, পরিবেশ, নারীদের নিয়ে ভাবনা নিঃসন্দেহে তার সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে আমাদের সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কচি-কাঁচার মেলা-র নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান সাঈদ খোকন, রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ লে. কর্ণেল (অব.) ডা. সৈয়দ হাসান আব্দুল্লাহ, ক্লিও বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ হোসেন নুরুল্লাহ, এএলআরডি-র নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা