জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ধারা ২-এর উপধারা (২) অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিকে ‘আপদ’ এবং ধারা ২-এর উপধারা (১১) অনুযায়ী ‘দুর্যোগ’ ঘোষণা করা এবং ধারা ২২-এর উপধারা (১) অনুযায়ী ঝুঁকি প্রবণ এলাকা সমূহকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণা করে ধারা ৪-এর উপধারা (১) ও (২) অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল’ সক্রিয় করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান।
তারা এই আইনের ১৩ ধারা অনুযায়ী ‘জাতীয় দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন’ গঠন করা ও ধারা ১৪ অনুযায়ী ‘জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপ’ গঠন ও কার্যকর করার পাশাপাশি ধারা ১৮-র উপধারা (১) ও (২) অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে, বিশেষত সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও গ্রুপ সক্রিয় করার আহ্বান জানান।
তারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবার সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক সংস্থা-এনজিওদের যুক্ত করে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা জোরদার করার আহ্বান জানান। তারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ জনপ্রশাসনের সকল পর্যায়ে সহায়তায় মাঠে নামার জন্য ধারা ৩০ ও ৩১ অনুযায়ী দেশের সুশৃংখল বাহিনীসমূহকে দ্রুত প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।
জাসদ নেতৃদ্বয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা ৫৩-র উপধারা (১) অনুযায়ী বন্ধু রাষ্ট্র ও দেশ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে করোনা ভাইরাস টেষ্টের কিটসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ-সরঞ্জাম সহযোগিতা হিসাবে গ্রহণের জন্য তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা ৩৪ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক জনসচেতনামূলক প্রচারাভিযান জোরদার করার আহ্বান জানান। তারা সবার আগে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বাস্থ্য সেবার সাথে যুক্ত পেশাজীবীদের প্রয়োজনীয় মাস্ক, এপ্রোন সরবরাহ করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা করোনা ভাইরাসসহ রোগ বালাই প্রতিরোধে জাতীয় সক্ষমতা অর্জনে দেশেই গবেষণা কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় অর্থ ও লোকবল দিয়ে জোরদার করার আহ্বান জানান।
তারা জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত-পারিবারিক-সামাজিক সুরক্ষা নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারি রূপ ধারণ এবং বাংলাদেশেও কয়েকজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগীর মৃত্যু, মহামারী আকারে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের প্রথম দিকে বিমানবন্দরগুলোতে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ছেড়ে দেয়া, পরবর্তীতে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে না রেখে হোম কোয়ারেন্টাইনের সুাযোগ দেয়ায় তাদের নিজ ঘর-বাড়ি এলাকায় চলে যাওয়া, তাদের আত্মীয়-স্বজন-এলাকার মানুষের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঘটনা, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতির ঘাটতি, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বাস্থ্য সেবা পেশাজীবীদের যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ কিটের মজুদের পরিমাণের অপ্রতুলতা, আইসোলেশন ইউনিটের অপ্রতুলতা, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি, ঔষধসহ নিত্যপণ্যের মজুদদারী-কালো বাজারী-মুনাফাখোরী জনমনে শুধু আতংকই সৃষ্টি করেনি, সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা