করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৪ শ’ শয্যা ও ১০টি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে নগরীর দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান,‘চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় এক হাজার ৪শ’ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রাখার জন্য কিছু হাসপাতালের শয্যা খালিও করা হয়েছে।’ খবর : বাসস এর।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি জানান, নগরীর আন্দরকিল্লায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের পাহাড়ের উপরের আলাদা ব্লকটিতে ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেরও কিছু শয্যা খালি রাখা রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকেও শয্যা খালি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনা রোগীদের বহন করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১০টি এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রাথমিকভাবে নগরীর হালিশহরে ‘পিএইচ আমিন একাডেমি’ ও চান্দগাঁওয়ের সিডিএ পাবলিক স্কুল’ নির্ধারিত রয়েছে।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, এ ধরনের ভাইরাস যানবাহনের হাতল, দরজার নব, টেলিফোন রিসিভার ইত্যাদি সাধারণ বস্তু থেকেও ছড়াতে পারে। তাই বাইরে থেকে এসে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।
প্রকাশ্যে যেখানে-সেখানে কফ-থুতু ফেলা বন্ধ করার বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করে তা (টিস্যু অবশ্যই একবার ব্যবহার্য) ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। হাত দিয়ে নাক মুখ চোখ স্পর্শ যত কম করা যায়,ততই ভালো বলে তিনি জানান।
এদিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানার কোনো সুযোগ চট্টগ্রামে নেই । আক্রান্ত কি-না তা জানতে করোনা রোগীর মুখের লালা ও শরীরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠাতে হচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা