স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৩টি মতো দেশে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেও বাংলাদেশে একটি মানুষও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। সীমান্ত এলাকার সবগুলি ইউনিটেই আমরা স্ক্যান মেশিন বসিয়েছি। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য আলাদা একটি আইসোলেটেড কেবিন খোলা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী ও কীটস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এগুলো কাজের খোঁজ খবর রাখছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা আলাদা হটলাইন চালু করেছি এবং বিমান বন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের হাতে করোনা ভাইরাসের সতর্কতা, করনীয় ও যোগাযোগ নম্বর সংবলিত কার্ড দেয়া হচ্ছে।
সুতরাং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ সকল ইউনিট একযোগে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা সবাই একে মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়স্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে “করোনা ভাইরাস, সচেতনতা ও করণীয়” বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশবাসীকে আতংকিত না হতে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, আলোচিত করোনা ভাইরাস সার্চ ভাইরাসের মতো ভয়াবহ নয়। এই ভাইরাস শীতকালে দেখা দিলেও গরমের সময় এটি টিকতে পারবে না। কাজেই এই ভাইরাস নিয়ে অহেতুক আতংকিত হওয়া যাবে না।
চীনের উহান প্রদেশে আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, উহানে ৩১৭ জনের মত শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিলেও চীন সরকার ১৪ দিনের মধ্যে সেখান থেকে বের হবার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আপাতত আনা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। ১৪ দিনের রেস্ট্রিকশন পিরিয়ড শেষ হলেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
চীনের সাথে বাংলাদেশের সকল ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিকভাবে চীনের সাথে বাংলাদেশের বহুবিধ সম্পর্ক রয়েছে। পৃথিবীর অন্যকোন দেশই চীনের সাথে তাঁদের যোগাযোগ বন্ধ করেনি। এছাড়া বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাও এব্যাপারে আমাদেরকে কিছু বলেনি। কাজেই চীনের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রাখার কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের আপাতত নেই।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২ টায় করোনা ভাইরাস নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন এর সভাপতি অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, কিটস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রোবেন, বিশ্ব ব্যাংকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি শিউ ওয়াং, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিল্প, বিমান ও পর্যটন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট শাখার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, কিটস বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা