করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত দেশগুলোতে বিনামূল্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ ‘অ্যাভিগান’ দিতে চাইছে জাপান। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ওষুধটির উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাপানের মন্ত্রিপরিষিদের প্রধান সচিব ইয়োশিদে সুগা শুক্রবার (৩ এপ্রিল) এসব তথ্য জানান। খবর নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত এমন অন্তত ৩০টি দেশ আমাদের কাছ থেকে ফ্লু’র ওষুধ অ্যাভিগান কিনতে চাইছে। ইতিমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা। তবে আমরা ওষুধটি বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি’। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে এ ওষুধটির ওপর অধিকতর গবেষণাও শুরু হবে।
এদিকে ওষুধটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফুজিফিল্ম এ সপ্তায় তাদের এক ঘোষণায় জানায়, অ্যাভিগানের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এ ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে আরও গবেষণা চলছে। উল্লেখ্য, কৌশলগত কারণে জাপান ইতিমধ্যেই এ ওষুধটির ২০ লাখ ডোজ সংরক্ষণ করে রেখেছে।
এর আগে গত ১৮ মার্চ জাপানি কোম্পানি ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস গ্রুপের তৈরি ‘ফ্যাভিপিরাভির’ নামক একটি ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় কার্যকর বলে জানিয়েছিল চীন। উল্লেখ্য, ফ্যাভিপিরাভির নামক এ ওষুধটি নতুন ‘অ্যাভিগান’ নাম দিয়ে বাজারে বিক্রি করছে ফুজিফিল্ম ।
সেসময় চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাং জিনমিন বলেছিলেন, ‘ফ্যাভিপিরাভির নামের ওই ওষুধ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করে দারুণ ফল পাওয়া যাচ্ছে। এ ওষুধটি চীনের উহান ও শেনজেন প্রদেশের ৩৪০ জন রোগীর শরীরে প্রয়োগের পর এ সিদ্ধান্তে আসা হয়। এটি খুবই নিরাপদ ও পরিষ্কারভাবে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় কাজ দিচ্ছে’।
যেসব রোগীর শরীরে ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে মাত্র ৪ দিনের মাথায় তারা সেরে উঠেছেন বলে দাবি করেছে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে জাপানে এ ওষুধটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফ্যাভিপিরাভির প্রয়োগ করা হয়েছে এমন ৯১ শতাংশ রোগীর ফুসফুসের স্বাস্থ্যেরও দ্রুত উন্নতি হয়েছে। যা সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ। চীনের ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
এদিকে গত শনিবার (২৮ মার্চ) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে রাজধানী টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় অ্যাভিগান নামক ওষুধটি নিয়ে আরও গবেষণা শুরু হয়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে ওষুধটিকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অনুমোদিত ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কাজ শুরু করেছে জাপান। ইতিমধ্যেই এই ওষুধটির উৎপাদন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জার্মানির স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে খবরে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার জন্য জাপান থেকে কয়েক লাখ ডোজ অ্যাভিগান কেনার পরিকল্পনা করছে জার্মানি।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা