করোনাভাইরাস আতঙ্ককে পিছনে ফেলে প্রতিশ্রুতি আর প্রেমের শক্তির কাছে ধরা দিলেন ফিলিপাইনের ২২০ দম্পতি।
ফিলিপাইনের ব্যাকোলড এলাকার নিগরোস দ্বীপে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গণবিয়েতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। বিয়েতে পাত্রপাত্রীরা ছিলেন মুখে মাস্ক পরা। করোনা আতঙ্কে তারা মাস্ক পরেই জীবনসঙ্গীকে চুমু দিয়েছেন। শুরু করেছেন বিবাহিত জীবন।
এমন গণবিয়ের খবর সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। এতে পাত্রপাত্রীরা সবাই উপস্থিত হন মুখে নীল রঙের সার্জিক্যাল মাস্ক পরে। এসব বিয়েতে পাত্রপাত্রী একে অন্যকে চুমু খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু চারদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। এ অবস্থায় একজনের মুখের কাছে অন্যের মুখ নেয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পাত্রপাত্রীরা মুখে মুখোশ পরে নেন। সে অবস্থায়ই চুম্বনে আবদ্ধ হন।
জন পল ইনভেন্টর (৩৯) হলেন এই বিয়ের এক পাত্র। তিনি সাত বছর ধরে প্রেম করছিলেন এক যুবতীর সঙ্গে। তাদের ঔরসে জন্ম নিয়েছে দুটি সন্তান। অবশেষে তারা বৃহস্পতিবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
এ বিষয়ে জন পল বলেছেন, এ দিনটির কথা তার দীর্ঘদিন স্মরণে থাকবে। বলেছেন, মুখে মুখোশ পরে চুম্বন খাওয়ার অনুভূতি ভিন্ন। তবু এই পদ্ধনি অনুসরণ করতে হয়েছে। কারণ, চুমু দেয়া বাধ্যতামুলক। বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল লোকে লোকারণ্য।
এর আগে, এই গণবিয়েতে অংশ নেওয়া প্রত্যেক দম্পত্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং তাদের বিগত ১৪ দিনের ভ্রমণ বৃত্তান্ত পরীক্ষা করা হয়। চীন থেকে যাওয়া মানুষদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য এই সময়টা স্ট্যান্ডার্ড।
এ বিয়েতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাকোলডের মেয়র ইভিলিও লিওনার্ডিয়া। তিনি বলেছেন, যদি আমাদের পরিবারগুলো শক্তিশালী হয় তাহলে ব্যাকোলড শক্তিশালী হবে।
ব্যাকোলডে গণবিয়ে একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালে সেখানে এমন গণবিয়ে হয়েছিল কমপক্ষে ২০০০ দম্পতির। মিরর অনলাইন।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা