যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে বাড়ছে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণহানির ঘটনা। এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্কে ২১ জন। অন্য দুজন হলেন মিশিগান ও নিউজার্সিতে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ৮ বাংলাদেশির প্রাণ। কমিউনিটিতে আরও অনেক প্রবাসী করোনায় আক্রান্ত রয়েছে।
এদিকে দেশটিতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সামাজিক দূরত্ব ও ফেডারেল করোনাভাইরাস গাইডলাইনের মেয়াদ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র নিউইয়র্কে করোনা অত্যন্ত খারাপভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৷ ২৮ মার্চ এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জন বাংলাদেশির। তারা হলেন- কায়কোবাদ, শফিকুর রহমান মজুমদার, আজিজুর রহমান, মির্জা হুদা, বিজিত কুমার সাহা, মো. শিপন হোসাইন, জায়েদ আলম এবং মুতাব্বির চৌধুরী ইসমত।
নিউইয়র্কের বাইরে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ড্রেটয়েট সিটি ও নিউজার্সির প্যাটারসনে দুই বাংলাদেশি নারীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
এর আগে ২৭ মার্চ নিউইয়র্কে মারা গেছেন ৬৩ বছরের ক্যাবচালক এ কে এম মনির উদ্দিন। একই দিন মারা যান সফিউদ্দিন বেপারী নামে ৫৮ বছরের আরেক ব্যক্তি।
২৬ মার্চ মারা যান ৭৭ বছরের ব্রংক্স এলাকার এক ব্যক্তি। ২৫ মার্চ মারা যান ব্রুকলিন এলাকার ৪৫ বছরের মোছাম্মদ আক্তদারি।
২৪ মার্চ মারা যান চার বাংলাদেশি। তারা হলেন ৬০ বছরের আবদুল বাতেন, ৭০ বছরের নুরজাহান বেগম, ৪২ বছরের এক নারী এবং ৫৯ বছরের এ টি এম সালাম।
২৩ মার্চ মারা যান ৩৮ বছরের আমিনা ইন্দ্রালিব তৃষা এবং ৬৯ বছরের মোহাম্মদ ইসমত। তার আগের সপ্তাহে মারা যান মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজন বাংলাদেশি।
এ ছাড়া নিউইয়র্ক, মিশিগানসহ বিভিন্ন স্থানে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেক প্রবাসী। এতে কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহে আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটতে পারে। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই বলে জানান ট্রাম্প। আরও এক মাস অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে জারি থাকবে লকডাউন।
এদিকে, ইতালিতে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ২ বাংলাদেশি করোনায় প্রাণ হারালেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিলান শহরে সোমবার দুপুরে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাড়ি ঢাকায় বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে বসবাস করে আসছিলেন।
এর আগে গত ২০ মার্চ মিলান শহরেই করোনায় প্রাণ হারান আরেক বাংলাদেশি। তিনিও দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ব্যবসা করে আসছিলেন।
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। ইতালির মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, বৃহত্তর লোম্বাদিয়া, ভারেজে, তরিনো, রোমসহ বিভিন্ন শহরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছেন।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা