অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৩৬০ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৭০৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৪ হাজার ৫৪৪ জনে।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘নতুন যুক্ত একটিসহ মোট ৭৬টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৬৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ৪ হাজার ৭৮৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৩৬০ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জনে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪১ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও নারী ১২ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দুই জন করে ছয় জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৮ জন, বাসায় মারা গেছেন ৩ জন।’
মৃত্যুদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দু’জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৭৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৬৮ জন। এই পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩৪ হাজার ২২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৬৭ জন।’
ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একইভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা