অনলাইন ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৮৪২ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৯১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন।
বুধবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২১ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৫১৭ জন।
গত মঙ্গলবার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ১৭ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৬৫৯ জন।
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০ জনের। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৪ হাজার ৯০২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ, এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও নারী ৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দু’জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রামের একজন ও রাজশাহী বিভাগের একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৭৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৫২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮৬ হাজার ৮৯৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭৪ হাজার ৮১৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৭৯ জন।
নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ৯১৫ জন, ছাড় পেয়েছেন ৭২৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৩ জন, ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৩ জন। মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৯ হাজার ৬৭০ জন।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।