করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে পাঁচ জেলায় স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
পিরোজপুর : জেলার ভাণ্ডারিয়ায় সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সবুজ হাওলাদার (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু সন্দেহে প্রশাসন ওই ছাত্রের বাড়িসহ আশপাশ এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। সবুজ করোনায় আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ ধাওয়া গ্রামে গতকাল দুপুরে নিজ বাড়িতে মারা যাওয়া সবুজ দিনমজুর আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) : সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জের ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত সোমবার রাতে মারা গেছেন। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না তা নিশ্চিত নয়। এ ছাড়া ৮৫ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তি নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন বিভাগে তিন দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
টাঙ্গাইল : মধুপুর উপজেলার দক্ষিণ মহিষমারা গ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে গতকাল এক যুবক মারা গেছেন। মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, ওই যুবক টেক্কার বাজার এলাকার হাসান আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ফেরি করে পান বিক্রি করতেন। সেখান থেকে চার দিন আগে তিনি সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে বাড়ি আসেন। তাঁর মৃত্যুর পর ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই যুবকের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হচ্ছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হবে।
ঝালকাঠি : গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজাপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে আবদুল হাকিম হাওলাদার (৬০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের সাউথপুর গ্রামের মৃত মৌজে আলী হাওলাদারের ছেলে। নিজ বাড়িতে মারা যাওয়া আবদুল হাকিমের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ থাকায় স্থানীয় জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহ আগে হাকিমের জ্বর হয়। পরে স্বজনরা উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি চলে আসে। চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের ওষুধ চলছিল।
সিলেট : শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাড়ি জেলার বালাগঞ্জে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান জানান, ওই কিশোরী দুই মাস আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ভুগছিল। সেই সঙ্গে পুরো শরীর ফোলা ছিল। মেয়েটি বা তার পরিবারে কোনো বিদেশফেরত বা তাদের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস পাওয়া যায়নি। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জানাজাও স্বাভাবিক নিয়মে হবে।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা