করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে ঘরে থাকার কথা বলা হলেও, তা উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষকে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার চরম ঝুঁকি নিয়ে বাস, লরি, ফেরি, নৌকা ও ট্রলারে করেই হাজার হাজার মানুষ ফিরে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ যেন না ছড়ায়, তাই সব ধরনের পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে যেভাবে পারছেন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ছুটছেন। এজন্য যেসব পরিবহন চলাচল করার অনুমতি রয়েছে, তাতে করেই ছুটছে মানুষ।
একজন বলেন, লঞ্চ ইস্টিমার সব কিছু বন্ধ করে দিছে। এখন অনেক কষ্ট করে আমাদের যাতায়ত করতে হয়। আরেকজন বলেন, ১০-১২ দিন শহরে তো আমাদের থাকা সম্ভব না।
বুধবার সকালে ভোলার লক্ষ্মীপুরের মৌজু চৌধুরীর ঘাট থেকে বিআইডব্লিউটিসির একটি ফেরিতে ভোলার ইলিশা ঘাটে এসেছেন প্রায় ৭ হাজার যাত্রী। দিনভর একইভাবে নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভোলায় যাত্রী আসলেও, তাদের নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি ঘাটগুলোতে।
চট্টগ্রামের বাস টার্মিনালগুলোর দিকে তাকালেই দেখা যায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার ফুসরত নেই কারোই। বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে নগরের অক্সিজেন, বটতলি ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ২৬ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এই কারণেই তারা যেকোনোভাবে বাড়ি পৌঁছাতে চাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছুটিতে বাড়ি যেতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ভিড় করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। যদিও কাউন্টার থেকে বারবার বলা হচ্ছে সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে, কিন্তু বাড়ি পাগল মানুষরা সেকথা শুনতে নারাজ।
কাউন্টারে অপেক্ষমান যাত্রী সারোয়ার বলেন, ‘ঈদেও এতো লম্বা ছুটি পাওয়া যায় না। তাই সবাই পরিবারের কাছে যাচ্ছে, এ ছুটি আরও আগে দেয়া উচিত ছিল। তাহলে আমরা সবাই নিরাপদে যেতে পারতাম।’
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রেলস্টেশনে ছিলো টিকিট সংগ্রহের দীর্ঘ লাইন, বিকেল হতেই দেখা গেল অগ্রিম টিকিট ফেরত দেয়ার দীর্ঘ লাইন। এতে সকাল-বিকেল স্টেশনে ছিল উপচে পড়া মানুষের ভিড়।
অন্যদিকে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ আর ঘরবন্দি থাকার ঘোষণায়, শহরে থেকে যাওয়া খেটে খাওয়া মানুষের চোখে হতাশা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও সঙ্গ-নিরোধ। সামাজিক দূরত্ব বলতে পরস্পরের মধ্যে ছয় ফুট বা প্রায় দুই মিটারের ব্যবধান বজায় রাখতে হয়।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা