অনলাইন ডেস্ক
অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের ছেলে তানভীর সালেহীন গাজী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার গুলশানের শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ৩ আগস্ট তাকে আইসিইউ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ড. গাজী সালেহ উদ্দিনকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসাপাতাল নির্মাণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি অনেক লোকজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এর পর দিন থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে সিআরবির ওই সমাবেশ থেকে তিনি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পরিবার।
অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রামের প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ওগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে তার লেখা বইয়ের তথ্যকে দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরাইউনিয়নের বদরপুর গ্রাম। শহীদ পরিবারের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলীর পাঞ্জাবী লেন-এ (বর্তমানে শহীদ লেন)।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ আলী করিম এবং মা হুরমোজা বেগমের দ্বিতীয় ছেলে। বাবা রেলওয়ের কর্মকতা হওয়ার সুবাদে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন পাহাড়তলী রেলওয়ে স্কুলে।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর উপমহাদেশের প্রখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেনের গবেষণা নির্দেশনায় ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও প্রক্টর ছিলেন।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা