প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও।
এরমধ্যে বাংলাদেশেও রোববার (৮ মার্চ) তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী ও দু’জন পুরুষ।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এজন্য বাড়িতে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
করণীয় হিসেবে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও কাশি শিষ্টাচার মেনে চলার আহ্বান তিনি। এজন্য গণমাধ্যমসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
আইইডিসিআর এর এই পরিচালক বলেন, সবাইকে মাস্ক পরে ঘুরতে হবে বিষয়টা এমন না। আক্রান্ত রোগী ও রোগীকে যিনি সেবা দিবেন তারা মাস্ক পরবেন। সবার পড়ার প্রয়োজন নাই।
এদিকে, নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ ধরনের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যা করণীয়
এক. ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে দুই. হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা তিন. হাঁচি–কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা চার. অসুস্থ পশু বা পাখির সংস্পর্শে না আসা পাঁচ. মাছ, মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া
করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়ায়
এক. আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি–কাশির মাধ্যমে দুই. আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে ছড়ায় তিন. পশু, পাখি বা গবাদিপশুর মাধ্যমে ছড়ায়
করোনাভাইরাস করোনা একধরনের সংক্রামক ভাইরাস। ভাইরাসটি পশু-পাখি থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকে। চীনসহ পৃথিবীর শতাধিক দেশে বর্তমানে (মার্স ও সার্স সমগোত্রীয় করোনাভাইরাস) এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কেউ যদি এসব দেশ ভ্রমণ করে থাকেন এবং ফিরে আসার ১৪ দিনের মধ্যে জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে, গলাব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে তাঁর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি প্রতিরোধে কোনো টিকা কিংবা ভ্যাকসিন এখনও আবিস্কার হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও চিকিৎসকদের জানা নেই, যা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো, ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
প্রয়োজনে আইইডিসিআরের নিচের নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫
Like & Share our Facebook Page: Facebook
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা