বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেসাস বলেছেন করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) ধনী ও গরীব সকল দেশের জন্যে হুমকী।
তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। ইতিমধ্যে করোনার কারণে বিশ্ব দারুণভাবে ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। ৮৫টি রাষ্ট্রে এ ভাইরাস সনাক্ত, প্রায় ১ লাখ লোক আক্রান্ত এবং এতে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইটালী, ফ্রান্স, গ্রিস এবং ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিকে, ক্যলিফোর্নিয়ার সমুদ্র তীরে একটি ক্রুস শীপের যাত্রীদের ভাইরাস পরীক্ষার উদ্দেশে আটকে রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগে জাপানের একটি জাহাজও অনুরূপ আটকে রাখা হয়েছিল। বিলাসবহুল ওই জাহাজের বিপূল সংখ্যক লোকের আক্রান্ত সনাক্ত হয়।
এই ভারাইরাস আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পর্যটন, ক্রীড়া ইভেন্ট ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত করছে। বিশ্বব্যপী বিভিন্ন দেশে অধ্যয়নরত ৩০০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এমনকি ভাইরাসের কারণে ধর্মীয় কার্যক্রমও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভ্যাটিকান বলেছে, পোপ ফ্রান্সিস তাদের সময় পরিবর্তন করতে পারে, পর্যটকরা বেথেলহামে প্রবেশ করতে পারছে না এবং সৌদি আরবে পবিত্র মক্কা শরীফ ভাইরাসমুক্ত রাখার লক্ষে ওমরার উদ্দেশে প্রবেশ স্থগিত রাখা হয়েছে।
চীনে গত বছরের শেষে এ ভাইরাস প্রথম ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রথম এ ভাইরাসে মানুষের মৃত্যু হয়। তবে, ভাইরাস এখন দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইটালীতে ব্যপক বিস্তার করেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার বেশ ক’টি দেশে এই ভাইরাস মোকবাবেলায় কোনো রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নেই বলে জানিয়েছে।
টেড্রোস প্রতিটি দেশের সরকার প্রধানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রনালয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভাইরাস মোকাবিলায় দরকার ‘ আক্রমণাত্মক প্রস্তুতি’ গ্রহনের।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা