সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়ানোর মাধ্যম হিশেবে গৃহপালিত ও গবাদি পশু এবং পোষা প্রাণি নিয়ে মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণা প্রত্যাহার ও বন্ধে PAW ( People for Animal Welfare) Foundation আইনি নোটিশ প্রেরণ করেছে। বুধবার (১৮ মার্চ) পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমগ্র পৃথিবীই এখন কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ এবং প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে বা লড়াই করছে। দেশের মানুষ যখন নানা ধরণের জল্পনা-কল্পনার মাঝে আছেন, তখন গুজবের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচারে গণমাধ্যমের ভূমিকাই প্রধান। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে সরকারি, বে-সরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ এবং প্রতিরোধের উপায়ের ধাপগুলোয় কিছু অবৈজ্ঞানিক, অপ্রমানিত এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। যেমন-
কোভিড-১৯ কিভাবে ছড়ায় বলে একটি পয়েন্টে বলা হচ্ছে- “গৃহপালিত পশু-পাখি এবং গবাদি পশুর মাধ্যমে।“ অপরদিকে তথ্য অধিদফতর থেকে গত ৮ই মার্চ প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় পোষা প্রাণির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। অথচ WHO ( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা), OIE (বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্য সংস্থা ) এবং CDC এর মত আন্তর্জাতিক সুত্রগুলো যেটি পরিস্কারভাবে নাকচ করেছে। কোভিড-১৯ কোন পোষা বা গবাদি প্রাণি থেকে ছড়ায় বা ছড়িয়েছে এই বিষয়ে কোন প্রমাণ এখনো পর্যন্ত নেই।
এবং কোভিড-১৯ থেকে প্রতিরোধের উপায়ে একটি পয়েন্টে বলা হচ্ছে- “অসুস্থ পশুর সংস্পর্শ পরিহার করুন।“অথচ প্রতিরোধের এই পয়েন্টটি উল্লেখ করবার আগে আরো কিছু বাক্য সংযোজন করা হয়েছে WHO এর সাইটে। আমরা জানি এদেশের গ্রাম-বাংলায় এমন কোন পরিবার নেই, যেখানে গবাদি প্রাণি নেই। এই অসম্পূর্ণ তথ্যের ফলে প্রতিটি পরিবার তার গবাদি প্রাণি নিয়ে আতংকে থাকবে। ফলে এই তথ্যে কাঁচা বাজার, মাংস এবং প্রয়োজনে পশু-পাখি ধরবার পর সাধারণ পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনের কথা পরিষ্কার করা দরকার।
এই দুইটি পয়েন্টে যথাক্রমে মিথ্যা ও দায়সারা প্রচারণায় বাংলাদেশের মত একটি কৃষিভিত্তিক দেশ এবং প্রাণিসম্পদে স্বয়ং সম্পূর্ণ সমাজ ব্যবস্থায় কি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে বা পরিস্থিতি আরো অবনতি হলে মানুষকে কতটা ভুল পথে পরিচালিত করবে তা অনুমান করা যায়। কাজেই, আমাদের দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান বিবেচনা করে দায়সারা তথ্য প্রচার না করে উপযুক্ত ব্যাখ্যাসহ সুনির্দিষ্ট তথ্যা প্রচার সামাজিক স্থিরতা বাড়াবে। অপরদিকে যাদের পোষা প্রাণি পরিবারের সদস্য হয়ে থাকে, তারা এহেন প্রচারণায় ইতোমধ্যে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সহিংসতার স্বীকার হচ্ছেন। অনেকেই বাসা ছাড়ার নোটিশ পাচ্ছেন বাড়ির মালিকের কাছ থেকে। যা কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণায় মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রত্যাহার এবং বন্ধের দাবী জানিয়ে আজ ১৮ই মার্চ ২০২০ পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল অধিদপ্তরে আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা