চীনে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৯৮ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই চীনের হুবেই প্রদেশে অর্ন্তগত উহান শহর থেকে আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, সীমিত আকারের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হতে পারে। ১৯৮ জন আক্রান্ত ব্যক্তির সবাই চীনের হুবেই প্রদেশে অর্ন্তগত উহান শহর থেকে আক্রান্ত হয়েছে এবং ভ্রমণজনিত কারনে থাইল্যান্ডে ২টি ও জাপানে ১টি রোগী সনাক্ত হয়েছে যারা চীনের উহান শহরে ভ্রমণ করেছিলেন।
১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয় এর মধ্যে ৭টি করোনা ভাইরাস মানুষকে সংক্রমণ করে। করোনা ভাইরাসের উপরি ভাগে মুকুটের মত সূচাল (ঝঢ়রশব) থাকায় এর রকম নামকরন হয়েছে।২০১৯ সালে এর প্রভাব আবার দেখা যাচ্ছে। ২০১৯ সালের এই করোনা ভাইরাসটি একটি বড় করোনা ভাইরাস ফ্যামেলির অন্তর্ভূক্ত। এই ভাইরাস বিভিন্ন প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় কিন্ত এখন পর্যন্ত সংক্রমণের নির্দিষ্ট উৎস নির্ণয় করা সম্ভব হয় নাই।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জ্বর কাশি এবং মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনী ফেইলুর হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারী থাইল্যান্ডে প্রথম সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হয়। ৬১ বছর বয়সী চাইনিজ মহিলা উহান প্রদেশে বাস করে ৫ জানুয়ারী সে গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হয়, ৮ জানুয়ারী ৫জন ফ্যামেলী মেম্বরাসহ ১৬ জনের দল নিয়ে থাইল্যান্ড বেড়াতে যায় সূবর্ণভূমি এয়ার পোর্ট থার্মাল স্ক্যানের জারের ধরা পড়ে । সে উহান শহরের স্থানীয় বাজারে নিয়মিত যেত কিন্ত উহানের সি ফুড মার্কেট যেখান থেকে প্রায় সব রোগী সনাক্ত হয়েছে সেখানে সে কখনো যায় নি।
এদিকে, ১৫ জানুয়ারী জাপানে ইম্পারটেড কেইস সনাক্ত হয়, বয়স ৩০ – ৩৯ বছর। সে জাপানে বাস করে। ডিসেম্বরের শেষে দিকে চীনের উহান শহরে ভ্রমন করেছে । ৩ জানুয়ারী জ্বরে আক্রান্ত হয় । সে সী ফুড মার্কেটে যায় নাই এমনকি উহানে কোন জীবিত পশুর বাজারেও যায় নাই কিন্ত সে বলেছে সে একটি নিউমোনিয়া রোগীর ঘনিষ্ট সংস্পর্শে এসেছিল।
লুনা ১৭ জানুয়ারী থাইল্যান্ড ৩য় ইম্পোটেড কেইস। ৭৪ বছর বয়সী রোগী চীনের উহান শহরে বাস করেন । সেখান থেকে চায়না যায় লুনার নতুন বছরের ছুটি উপলক্ষে।
বাংলাদেশ সরকার আশঙ্কা করছে ভ্রমণজনিত কারণে বাংলাদেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই, ইতিমধ্যে এই ভাইরাস প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. সানিয়া তাহমিনা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা