অনলাইন ডেস্ক
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এত কিছু থাকতে এই পতঙ্গগুলো কচ্ছপের চোখের জল খায় কেন? আসলে মানুষের মতো কচ্ছপের চোখের জলেও থাকে লবন। এজন্যই তো এদের কান্না এতটা প্রিয় এসব প্রজাপতিদের। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আমাদের এই আশ্চর্য তথ্যটি জানিয়েছেন গবেষক অ্যারন পোমারেন্টজ। আরও বছর দেড়েক আগে আর্থাৎ ২০১৩ সালের জুন নাগাদ পেরুর তোম্বোপাতা জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সময় তিনি এ বিচিত্র প্রজাতির দেখা পান।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে প্রজাপতিরা তো অনায়াসে নদী বা বৃষ্টির জল খেতে পারে। এসব জলেও তো লবন থাকে। তা না করে তারা শুধু কচ্ছপের চোখের জল কেন খায়? এর উত্তর জানতে হলে আমাদের আগে পেরুর ভুপ্রকৃতি আর জলবায়ু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। পেরুর দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাটি আসলেই দারুণ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল সংলগ্ন তোম্বোপাতা জঙ্গলটি হচ্ছে রেইনফরেস্ট। ফলে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় যা থেকে এই জঙ্গলের জন্ম। মহাসাগরের জলকনা থেকে জলীয় বাষ্প নিয়ে জমে মেঘ। একসময় বৃষ্টি হয়ে তা ঝড়ে পড়ে ওই জঙ্গলে। তবে এ অঞ্চলের অবিরাম বর্ষণের উৎস কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগর নয়।
গবেষক পোমারেন্টজ জানান, তোম্বাপাতা জঙ্গলের বৃষ্টিপাতের উৎস আটলান্টিক মহাসাগর। এখানকার জলীয় বাষ্প সমৃদ্ধ মেঘরাশি ব্রাজিলসহ গোটা দক্ষিণ আমেরিকা ঘুরে সবশেষে আসে পেরুর ওই অঞ্চলটিতে। কিন্তু অতখানি ঘুরাঘুরির পর যে বর্ষণ হয় তাতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ যায় কমে। আর বৃষ্টির প্রধান উপাদান সোডিয়াম বা লবন তো বলতে গেলে থাকেই না।
তাই এই বৃষ্টি বা নদীর জল ওই অঞ্চলের লবনখেকো প্রজাপতিদের কোনো কাজে আসে না। কিন্তু প্রাণিদেহের সুস্থতার জন্য লবন অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আর এজন্যই পেরুর প্রজাপতিরা বিকল্প পথে লবনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এসব পতঙ্গদের কচ্ছপের চোখের জল পান করার এটাই হচ্ছে আসল রহস্য।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা