অনলাইন ডেস্ক
পুতিনের জারিকৃত এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওয়াগনার বাহিনীসহ ইউক্রেনে রুশ সেনাদের সহায়তা করছে এমন সব বাহিনীকেও এ আদেশ মানতে হবে। প্রেসিডেন্ট পুতিন স্বাক্ষরের সাথে সাথে এরই মধ্যে তা কার্যকরও করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াগনারের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টা এবং প্রিগোঝিনের মৃত্যতে নেতৃত্বশূন্য ভাড়াটে সেনাদের ওপর পুতিনের কর্তৃত্ব কমেছে। তাই নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এ বিষয়ে ভিন্ন মতও আছে বিশ্লেষকদের। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক নাটিয়া সেসকুরিয়া বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো ধরনের অভ্যুত্থান বা আভ্যন্তরীণ সামরিক চ্যালেঞ্জ যাতে সামনে না আসে, সেই কথা মাথায় রেখে ওয়াগনার গ্রুপকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন পুতিন। এর মাধ্যমে যোদ্ধাদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে যে, রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করলে জেলে যেতে হবে।
তবে কোনো পরিপূর্ণ নেতৃত্ব ছাড়া পুতিনের এই আদেশ কীভাবে নেবেন ওয়াগনার যোদ্ধারা? এ বিষয়ে আরেক বিশ্লেষক পেট্রো বুরকোভস্কি বলেন, এসব যোদ্ধারা ওয়াগনার বাহিনীকে বেছে নিয়েছে, কারণ রুশ সেনাবাহিনীর বিশাল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়াই তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এখন যদি তারা সেই একই সুবিধা পুতিনের নিয়ন্ত্রণে থেকেও পায়, তাহলে এ নিয়ে তাদের আর কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়।
অবশ্য এনিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ওয়াগনার বাহিনী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা