অনলাইন ডেস্ক
তার স্বামীর বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ওসমানপুর হলেও তিনি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। গত বুধবার পুলিশ দীর্ঘ খোঁজাখুজির পর তাকে একটি মুঠোফোনের সূত্র ধরে পাহাড়তলীর ওই বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু মূল আসামি প্রেমিক নজরুল ইসলাম বাচ্চুকে (২৮) গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
পুলিশ জানায়, ওই যুবক ও ওই কিশোরীর নানার বাড়ি সোনাগাজীর একই এলাকায় হওয়ার সুবাধে দুজনের মধ্যে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শারীরিক মেলামেশা হয়। এতে ওই কিশোরী গর্ভধারণ করেন। সাত মাসের অন্তস্বত্বা ওই কিশোরী বিয়ের জন্য যুবককে নানাভাবে চাপ দেয়। এতে রাজী না হয়ে যুবকের খালা সাফিয়া খাতুনের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে প্রলোভনে ফেলে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সাত মাসের শিশু সন্তান নষ্ট করে। এতে ওই কিশোরী একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। এরপর ওই যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৯ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি পরে ফেনী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি জানান, মামলায় আসামীদের সুনির্দিষ্ট ঠিকানা ছিল না। নানা কায়দায় ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি মুঠোফোন নাম্বার সংগ্রহ করা হয়। ওই মুঠোফোনের মাধ্যমে গত বুধবার ওই যুবকের খালা সাফিয়া খাতুনকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাফিয়া বৃহস্পতিবার ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ওষুধ খাইয়ে ওই কিশোরীর পেটের সাত মাসের সন্তান নষ্ট করার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছে। তিনি আরো জানান, ওই যুবক পলাতক। তার অবস্থান চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা