অনলাইন ডেস্ক
কয়েকদিন আগে নজরকারা, নান্দনিক এবং ঐতিহ্যবাহী কনের পোশাক তৈরি করেছেন সুদিনা। নিজের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার প্রচেষ্টায় দাকমান্দার আবেদন এতটুকু নষ্ট না করেও বিয়ের সাজে আধুনিক ফ্যাশনের স্পর্শ আনতেই এই ওয়েডিং দাকমান্দার ডিজাইন করা হয়েছে। যা গারোদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।
আবার ট্র্যাডিশনের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয় চলতি ফ্যাশন আর চিন্তা ভাবনাকেও । যেখানে ডানা মেলেছে দ্যুতিময়, সুন্দর, স্বকীয়তা।
গারোরা নিজেদের পোশাক ছাড়াও বেশিরভাগই শাড়ি ও গাউন পড়ে বিয়ে করেন। শাড়ি বা গাউন ছাড়াও গারো পোশাকে ব্রাইডাল লুক আনতে সুদিনা বেছে নিয়েছেন দাকমান্দার ব্রাইডাল ড্রেসটি। দাকমান্দায় আকর্ষণ যোগ করা হয়েছে চুমকি, পুঁতি,জরি, গ্লিতার,গ্লাসওয়ার্ক ইত্যাদি।
এই ডিজাইনের দাকমান্দাটি কেউ চাইলে পেছনের গাউনটি খুলে শুধু মাত্র দাকমান্দা টপস দিয়ে পরতে পারবেন যে কোন অনুষ্ঠানে।
নতুন প্রজন্মের ফ্যাশনপ্রেমিদের কাছে এখন কাপল ড্রেস খুবই জনপ্রিয়। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য তৈরি করেন কাপল ড্রেস।
বার্তা২৪.কমকে সুদিনা রেমা বলেন, মানুষ চায় নতুন কিছু করতে, আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সাথে থাকবে ভিন্নতা। গাউনের আদলে তৈরি করেছেন ‘দাকমান্দা গাউন’। বুনন শৈলীর সাথে আধুনিকতাকে মিলিয়ে এক অপূর্ব শিল্প এই দাকমান্দা গাউনের।
তিনি বলেন, নিজস্বতা, আধুনিকতা, নৈপুণ্য ও ঐতিহ্যকে বজায় রেখে ব্রাইডাল পোশাক এবং চমৎকার কিছু ড্রেস তৈরি করি। গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক দকমান্দা। দাকমান্দা শুধু একটি পণ্যই নয়, এটি একটি স্বতন্ত্র শিল্প সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। নিজেদের ঐতিহ্য নিজেদেরই ধারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় দাকমান্দা নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। কারণ গারোদের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাকেও স্টাইলিংয়ে নতুনত্ব আনা যা
এছাড়াও আমি রংতুলিতে নিজ হাতে শিল্পীর সত্ত্বাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি পোশাকের মাধ্যমে। সুন্দর আর্ট, ডিজাইন, দেখতে যেন হয় মনোমুগ্ধকর। বিভিন্নভাবে নিজের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
SOSU by Sudina- পেজের মাধ্যমে সুদিনা রেমার নিজস্ব ডিজাইনে বৈচিত্র্যময় এই কালেকশনে গাউন, শাড়ি, দকমান্দা টপস, বেবি ড্রেস, মাস্কসহ গারোদের যাবতীয় পোশাক পাওয়া যায় এবং নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা হয়। তার তৈরি পোশাকগুলো এখন দেশ থেকে বিদেশেও যাচ্ছে।
ছেলে, মেয়ে, সংসার সামলিয়ে নিজের ডিজাইনে তৈরি করে চলেছেন নতুন নতুন দাকমান্দার ব্রাইডাল পোশাকসহ অন্যান্য পোশাক। ভবিষ্যতে তার ইচ্ছে বড় পরিসরে নিজের ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করার।
সবশেষে তিনি বলেন, গারো জনগোষ্ঠী যেন তাদের ঐতিহ্য, নিপুণ কারুকাজকে প্রকৃতির মতোই উদ্ভাবিত করে সারা বিশ্বময়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা