অনলাইন ডেস্ক
সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিনে এই সাকরাইন উৎসব আয়োজন করা হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকা তারিখের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্যের কারণে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এই উৎসবটি পালন করেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।
উৎসবের দিন বিকেল থেকে পুরান ঢাকার প্রতিটি বাড়ির ছাদ থেকে শত শত ঘুড়ি উড়তে থাকে। ঢাকার অন্য অঞ্চল থেকেও হাজারো মানুষ ভিড় জমান ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবটি উপভোগ করতে। সাকরাইনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, লক্ষ্মীবাজার, নয়াবাজার, তাঁতীবাজার, গেণ্ডারিয়া ও সূত্রাপুর এলাকায় ঘুড়ি, নাটাই ও মাঞ্জা দেওয়া সুতা বেচাকেনার ধুম পড়েছে।
এছাড়া, এদিন ঘরে ঘরে তৈরি হয় বিভিন্ন পিঠাপুলিসহ নতুন খাবার। নানা রকম খাবারের পাশাপাশি ছাদে চলতে থাকে আড্ডা ও নাচ-গান।
তবে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রতিবছরই ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে। রাজধানীবাসী যেন ফানুস ওড়ানো ও দোকানিরা যেন ফানুস বিক্রি না করতে পারে সেই জন্য বিভিন্ন থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ফানুস ওড়ানো ও বিক্রি বন্ধে থানায় থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আমরা ভাল করে বুঝিয়েছি যেন কেউ ফানুস বিক্রি করতে না পারে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা