অনলাইন ডেস্ক
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবরদান। আগামী ১৬ই অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমার পরের দিন থেকে মাসব্যাপি দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে চীবর দান উৎসব উদযাপন করা হয়। প্রতিবছরের মত একই সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে কঠিন চীবরদান আয়োজনের কথা ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতার অভাব বোধ করে পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। এ অবস্থায় গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে কঠিন চীবরদান উদ্যাপন না করার ঘোষণা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।
এরপর গত সোমবার কঠিন চীবরদান উদযাপনের লক্ষ্যে রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। তবে বৌদ্ধ নেতা ও ভিক্ষুরা প্রশাসনের সাথে আলাদা বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে উৎসব আয়োজনে সব ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। তবে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ভেবেচিন্তে মতামত দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
বছরের এই সময়ে কঠিন চীবরদান ঘিরে খাগড়াছড়ির বিহার এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, রংকাজ, বুদ্ধমূর্তি স্নানসহ নানা কার্যক্রম থাকলেও, এবার তা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এই উৎসব পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাগড়াছড়ির বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও। বান্দরবানেও নিরাপত্তাজনিত কারণে বৌদ্ধ ধর্মের গুরুরা কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে কঠিন চীবরদান উৎসব উদযাপনে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আশা, নিরাপত্তা নিয়ে তাদের দেয়া আশ^াসে পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধরা কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা