অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক- বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে যেকোন প্রশ্নের উত্তর দিতে আমাদের দরজা সবসময় খোলা।
মূলত এমপি পাপুল কুয়েতের নাগরিক কি-না বিষয়টি বেশি আলোচিত হয় বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। বুধবার বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুয়েতের সে নাগরিক কি-না, সে বিষয়ে কুয়েতের সাথে আমরা কথা বলছি। আর যদি এটা হয়, তার পদটি (লক্ষ্মীপুর-২ আসন) খালি করে দিতে হবে। সবকিছু আইন অনুযায়ী চলবে।’
কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ২০ হাজার বাংলাদেশিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানে তাদের যে চাকরি দেয়ার কথা ছিল, বেশির ভাগই সেই চাকরি পাননি। যে বেতনের কথা বলা হয়েছিল, তারা তার চেয়ে কম বেতন পেয়েছেন বা একদমই পাননি। তবে রাষ্ট্রপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে স্বেচ্ছায় ঘুষ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
তার দাবি, তিনি কুয়েতি কর্মকর্তাদের বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘কুয়েতে আমার ৯ হাজার কর্মী রয়েছে এবং (এ বিষয়ে) আমার শতভাগ টেন্ডার রয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ আমার কাজের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। অথচ (কুয়েতের) কিছু সরকারি কর্মকর্তা আমার টেন্ডার বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তাদেরকে টেন্ডারে রাজি করানোর একমাত্র মাধ্যম হলো তাদের ঘুষ দিতে হবে। তাই আমি এক্ষেত্রে কী আর করতে পারি?
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা