অনলাইন ডেস্ক
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, এমটিএফইয়ের ওয়েব সাইটে কোনো প্রকার স্যোশাল মিডিয়ার লিংক নেই। নেই এ প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্মকর্তাদের কোনো নাম ঠিকানা। নেই সরকারি অনুমোদনও। এরপরও প্রতারক চক্র অত্যান্ত গোপনে মানুষের সাথে প্রতারণা করে এসব অর্থ হাতিয়ে নেয়।
দেবিদ্বারে একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মচারী গোলাম কিবরিয়া নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, এই অ্যাপের সঙ্গে পরিচিত হই গত কয়েক বছর আগে। প্রথম প্রথম কিছু টাকা লাভ হয়েছিল। তখন আমি ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে আরও লোকজনদের বিনিয়োগ করাই। এবং আমার বিনোয়াগের পরিমাণও বৃদ্ধি করি। একজন টিম লিডার হোয়টসঅ্যাপ গ্রুপে পরামর্শ দেন কিভাবে টাকা বিনিয়োগ ও উত্তোলন করা যায়। গতকাল আমার প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যালেন্স শূন্য হয়ে যায়। এটি তাদের একটি পরিকল্পিত ফাঁদ ছিল, এখন বুঝতে পেরেছি। আমি যাদের বিনিয়োগ করিয়েছি তাদের ব্যালেন্সও শূন্য দেখাচ্ছে। আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন, দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের এক পরিচিতের মাধ্যমে এমটিএফই বিনিয়োগ করি। এরপর নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতাম। আমার দেখাদেখি আরও কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিতজন তারাও এমটিএফই বিনিয়োগ করে। আমরা সবাই মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মত বিনিয়োগ করি। কিছু টাকা আমরা পেয়েছি, এতদিন আসল টাকা ব্যালেন্সেই ছিল, গত কয়েক দিন ধরে আমাদের সবার টাকা শূন্য দেখাচ্ছে। আমরা এখন দিশেহারা।
দেবিদ্বারের ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম জানায়, আমার এলাকায় প্রচুর মানুষ এমটিএফই এর ফাঁদে পড়েছে। আমার পরিচিতি একজনের ১৩ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ ছাড়াও আমার গ্রামের আরও অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এভাবে লেনদেন করা সরকারিভাবে কোনো বৈধতা নেই। এটির অনুমোদনও নেই। অধিক মুনাফার লোভে যারা এমন বিদেশি অ্যাপসে লেনদেন করে লোকসানের মুখে পড়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা