এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে ভোজ্যতেলের মিল মালিকরা।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে ভোক্তারা যখন নাকাল, তখন অনেকটা নীরবে দাম বেড়েছে ভোজ্যতেলের।
সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে আবেদন করেছে।
গত এক মাসে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩-৪ টাকার মতো। দাম বাড়িয়ে দেওয়ার পর ভোজ্যতেলের মিল মালিকরা দাম আরও বাড়াতে আবেদন করেছে সরকারের কাছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বুধবার মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন।
একই দিন লবণের মজুদ, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পৃথক বৈঠক করবে সংস্থাটি।
শীত শুরুর আগেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে চায় পরিশোধনকারী মিলগুলো।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন অনুযায়ী, ভোজ্যতেলের বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
মিলগুলোর দাম বাড়ানো প্রয়োজন হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাশে ট্যারিফ কমিশনের কাছে আবেদন করে। ট্যারিফ কমিশন তাদের আবেদনের যৌক্তিকতা যাচাই-বাছাই করে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন মনে হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন করার পর মিলগুলো সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে। একই বিধান চিনি ও লবণের ক্ষেত্রেও।
ট্যারিফ কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ছয়টি ভোজ্যতেল কোম্পানি দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে আগামী বুধবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে তেলের আমদানি মূল্য, অন্যান্য খরচ বিশ্নেষণ করে তাদের আবেদনের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করা হবে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, রোববার ঢাকার বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। গত ২৪ অক্টোবর তা বিক্রি হয়েছে ৭৭ থেকে ৮৫ টাকা। গত ২৪ অক্টোবর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার দর ছিল ৯৫ থেকে ১১০ টাকা, এক মাস পর রোববার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
টিসিবির হিসাবে, ঠিক এক মাস আগে প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। রোববার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকায়। আর গত মাসের ২৪ অক্টোবর প্রতি লিটার সুপার পাম অয়েলের দাম ছিল ৬২ থেকে ৭০ টাকা, রোববার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ থেকে ৭৪ টাকা।
ট্যারিফ কমিশনের সংশ্নিষ্টরা জানান, দেশে লবণের উৎপাদন, চাহিদা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামী বুধবার আলাদা বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে ভোজ্য লবণের পাশাপাশি শিল্প লবণের চাহিদা ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়েও পর্যালোচনা করা হবে।
সম্প্রতি গুজব ছড়িয়ে লবণের দাম বাড়িয়েছিল একটি চক্র।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা