এখনও জমে ওঠেনি ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০। পঞ্চম দিন রোববারও মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম, নেই বিকিকিনিও।
দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায় বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই মেলা জমে উঠবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ ও স্টল মালিকরা।
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দেশের শিল্পখাতের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী এ বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরেজমিন দেখা গেছে, মেলায় দর্শক-ক্রেতা উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অনেক স্টল এবং প্যাভিলিয়ন নির্মাণ এবং পণ্য সাজাতে এখনও ব্যস্ত অংশগ্রহণকারীরা। তবে মেলার ছোটো খাটো স্টলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। দর্শক সমাগম কম থাকায় বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে কর্মরতরা অলস সময় পার করছেন।
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও নেই তেমন বিক্রিবাট্টা। দিনে দুই লাখ দর্শনার্থী উপস্থিতির যে আশা করছেন আয়োজকরা তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
মেলায় আসা দর্শনার্থী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রোরেলের কাজের জন্য মেলাকেন্দ্রিক রাস্তা সংকীর্ণ, মেলায় প্রবেশের টিকিটের দাম বাড়ানো এবং অনেক স্টলের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় এখনও জমে ওঠেনি মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা।
তবে দর্শনার্থীদের এমন খরায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মেলার ইজারা প্রতিষ্ঠান। তারা বলছেন, এবারের মেলায় গেল বছরের তুলনায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কম। ইজারা নিয়ে লোকসানের শঙ্কা করছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুরুর দিকের কয়েক দিন ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকে। এ সময় প্যাভিলিয়ন ও স্টল গোছগাছেই সময় ব্যয় হয় বেশি। তবে আগামী শুক্রবার থেকে মেলা পুরো মাত্রায় জমবে বলে আশা করছেন তারা।
দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, এখন চলছে পণ্য পরখের কাজ, শেষ দিকে শুরু হবে কেনাকাটা। কারণ তখন প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড় দেবে বেশি বেশি।
মেলা সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় এবার কমানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। গেল বছর ৬৩০টি স্টলের পরিবর্তে এবার করা হয়েছে ৪৮৩টি। অর্থাৎ স্টল কমেছে ১৫৯টি।
এবারের স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। এ বছর ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।
দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া।
খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে।
ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে মেলায় রয়েছে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে ২টি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক ও ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।
মাসব্যাপী এই মেলা চলবে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা