পেঁয়াজ নিয়ে কমবেশি প্রতি বছরই কোনো না কোনো উত্তাপের আঁচ সাধারণ মানুষসহ সরকারের গা ছুঁয়ে যায়। উৎপাদিত পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে কৃষক যেমন খুশি হয়, তেমনি আবার কখনও দাম না পেয়ে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসা পেঁয়াজ ফেলে দিয়ে চলে যায়।
কিন্তু ডিম, কমলা, কলার মতো পেঁয়াজ বেচাকেনাও একদিন হালি দরে করতে হবে কখনই কেউ ভাবেনি হয়তো। তবে এখন শুনতে হচ্ছে। দাম বাড়তে বাড়তে পেঁয়াজ এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে স্বল্প আয়ের মানুষের আর উপায় কী!
লক্ষ্মীপুর এবং পিরোজপুরের বাজারের দোকানগুলোতে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। সে হিসেবে হালি দাড়ায় ২০ থেকে ৩০ টাকা।
লক্ষ্মীপুরের কোথাও কোথাও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে হালি দরে। এক হালি ২০ টাকা। ১৫০ টাকার কেজি হিসাবে কেনার সামর্থ্য যাঁদের নেই, তাঁরাই কিনছেন হালিতে। লক্ষ্মীপুরে শনিবার ১৫০ টাকা দরেই বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
এদিকে, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় একহালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আবার, এক কেজি পেঁয়াজের দামে মিলছে ৫ কেজি সিদ্ধ মোটা চাল।
বর্তমানে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দোকানগুলোতে ১৩৫-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। আবার কেউ কেউ মাত্র এক হালি পেঁয়াজ কিনছেন।
শনিবার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে, প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এককাডি (২৬ কেজি) সেদ্ধ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। আর প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
কক্সবাজার উপকূলে এক মণ লবণের বিনিময়েও মিলছে না এক কেজি পেঁয়াজ। সংকটের অজুহাতে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায়। এদিকে প্রতি মণ লবণ (কালো ও সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫৫ টাকায়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা