অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন প্রাঙ্গণে তেঁতুল, ছাতিয়ান ও চালতা প্রজাতির তিনটি চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে মুজিববর্ষে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দেশের ৪৯২ উপজেলার প্রতিটিতে ২০,৩২৫টি করে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ঔষধি ও ফলদ বৃক্ষের চারা বন বিভাগের মাধ্যমে বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটি চারা বিতরণ বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা সহকারীদের তালিকা প্রণয়ন করেছে।
মুজিববর্ষে রোপণের জন্য উত্তোলিত ১ কোটি চারার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ ফলদ এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ বনজ, ঔষধি ও শোভা বর্ধণকারী প্রজাতির চারা। কোনো প্রকার বিদেশি প্রজাতির চারা এ কাজের জন্য উত্তোলিত করা হয়নি।
সবাইকে গাছের যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিজের সন্তানকে যেমন লালনপালন করতে হয়, একটা গাছ লাগালে তাকেও কিন্তু যত্ন করতে হয়, লালনপালন করতে হয়। তাহলে তো সে ফল দেবে। আমি ফল খাবো কিন্তু যত্ন করবো না এটা তো হয় না। আমি মনে করি সবাই গাছের যত্ন করবেন।’
দেশবাসীকে অন্তত ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে আজকের দিনে আহ্বান জানাচ্ছি- পহেলা আষাঢ় আসুন সবাই মিলে গাছ লাগাই। গাছ লাগিয়ে দেশের পরিবেশ রক্ষা করি। আবার নিজেরা লাভবান হই, কারণ গাছ বিক্রির টাকা আপনাদেরই সংসারে কাজে দেবে।’
মুজিববর্ষে গাছ লাগানোর কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিববর্ষেও আমাদের একটা কর্মসূচি আছে যে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা। অন্তত এক কোটি গাছ তো আমরা লাগাবোই। এর থেকে বেশি আমাদের লাগাতে হবে। কারণ তিন প্রকারের গাছ লাগালে তিন কোটি গাছ আমরা লাগাতে পারি। ‘আসুন মুজিববর্ষে আমরা সবাই মিলে বৃক্ষরোপণ করে আমাদের দেশকে রক্ষা করি। দেশের পরিবেশ রক্ষা করি, আর মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা