অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবে সাধারণত এসব নারীর ওপর অভিভাবকত্ব থাকে ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয়ের। কিন্তু রক্ষণশীল সৌদি আরবের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ তাদের ‘ল অব প্রসিডিউর’ এর অনুচ্ছেদ ১৬৯-এর প্যারাগ্রাফ ‘খ’ বাতিল করেছে। সংশোধিত এই নিয়মের অধীনে এখন সৌদি আরবের কোনো ‘সিঙ্গেল’ নারী নিজের ইচ্ছামতো আলাদা কোনো বাসস্থান বেছে নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কোথায় বসবাস করবেন তা বেছে নেয়ার অধিকার আছে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর।
তবে ওই নারী কোনো অপরাধ করেন এবং এ বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ থাকে তাহলেই একজন নারীর অভিভাবক রিপোর্ট করতে পারবেন। অন্যদিকে যদি কোন অপরাধে একজন নারীর জেল হয় তাহলে শাস্তি ভোগের পর তাকে তার অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে না। স্থানীয় পত্রিকা আইনজীবী নাইফ আল মানসিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যদি কোনো মেয়ে একা বসবাসের ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে পরিবার আর কোনো মামলা করতে পারবে না। গত বছর জুলাইয়ে সৌদি আরবের লেখিকা মরিয়ম আল ওতাইবী একা থাকার অধিকার অর্জনের লড়াইয়ে বিজয়ী হন। তার এমন ইচ্ছার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তিনি তার পিতার অনুমতি ছাড়া একা ভ্রমণের অধিকার চেয়ে লড়াই করেছিলেন এর বিরুদ্ধে। তখন আদালত অপ্রত্যাশিত এক রায় দেয়। তাতে বলা হয়, ওতাইবা নিজের পছন্দমতো বসবাসের জায়গা বেছে নেওয়ার অধিকার রাখেন।
এ বছরের শুরুর দিকে অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই ১৮ বছর বয়সী ও তার চেয়ে বেশি বয়সী নারীদের পরিচয়পত্রে নাম পরিবর্তন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ভ্রমণের ওপর সৌদি নারীদের বিরুদ্ধে দেওয়া বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ। এর অধীনে ২১ বছরের বেশি বয়সী নারীদেরকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন এবং মুক্তভাবে সফরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। এর এক বছর আগে সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
এর ফলে কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও নিজেদের রক্ষণশীল মনোভাব বদলাচ্ছে সৌদি আরব । সম্প্রতি দেশটির পাঠ্য বইয়ে রামায়ণ, মহাভারত পাঠ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা