সংবাদ সম্মেলন
একটি বেসরকারি টিভির অপপ্রচারে সকল মুক্তিযোদ্ধার মান ক্ষুন্ন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সমন্বিত প্রয়াস, রুখে দিবে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস’ এই স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবস্থান জানাতে গত রোববার (২৭ অক্টোবর) মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৮ তম দিবসে আলোচনা সভা এবং র্যালির আয়োজন করে জাতীয় সংসদ ভবন দক্ষিন প্লাজায়। এতে অংশ গ্রহন করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ.লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী (অব.), প্রমুখ নেতাদের সামনে তিন দফা দাবী জানানো হয়।
দাবিগুলো হল- মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা পূণর্বহাল। তিন প্রজন্ম পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিতকরণ। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী সরকারী আধা সরকারী ও স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে অযোগ্য ঘোষনা করতে হবে;তাদেরকে পদ থেকে অপসারণসহ এবং নির্বাচনী আইনে তাদের অযোগ্য ঘোষনা করতে হবে। দেশ বিরোধী জামায়াত-শিবির পরিচালিত আর্থিক, বানিজ্যিক,শিক্ষাসহ সকল প্রকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রনে এনে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, এইসব বিষয় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর একটি বেসরকারি টিভি চ্যালেন রাজাকাদের টাকায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনসহ বিভিন্ন শিরোনামে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালিয়েছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ‘ওয়াকফ’ বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ‘রেজি. নং- জামুকা-১৮৯’ সহযোগিতার ইচ্ছা পোষণ করে বলে তাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের স্পন্সর নিয়েছি।
মেহেদী হাসান বলেন, হামদর্দ একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান এটা কোন প্রাইভেট বা পাবলিক প্রতিষ্ঠান না। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে হতে ওয়াক্ফ আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে ছিলেন সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডে চেয়ারম্যান এনএসআই এর মহাপরিচালক ও সাবেক সচিব কাজি গোলাম রহমান,ডা.এ কে আজাদ খান,মো.শহিদুল ইসলাম, আবু তৈয়ব মো. জহিরুল আলমসহ আরো অনেকে। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেক মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছেন যার মধ্যে অন্যতম হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মান্নান।
তারা বলেন, এই সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারী, বেসরকারী, বিভিন্ন পর্যায়ে স্পন্সর নিয়ে থাকে যার মধ্যে ৭১ টেলিভিশন ও আছে। প্রতিষ্ঠান কোন অপরাধ করতে পারে না; যদি প্রতিষ্ঠানের কেউ স্বাধীনতা বিরোধী থেকে থাকে তবে ঐ ব্যক্তির বিষয়ে আমাদের সংগঠন থেকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দেন। এবং তার বিরুদ্ধে আইনআনুক ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলে জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, অর্থ সম্পাদক রুমা, মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম কমান্ডের সভাপতি ইসোনুর রহমান মুন্না, সধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, নাজমুল হোসাইন প্রমুখ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা